আদালতে দায়ের করা হত্যা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ৬ মাস পর বগুড়ার নন্দীগ্রামে ৪ মাস বয়সি শিশু নূর সাফায়েত মিজানের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বগুড়া।
শনিবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিবের উপস্থিতিতে নন্দীগ্রাম উপজেলার কচুগাড়ি কবরস্থান থেকে শিশুটির লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, নন্দীগ্রাম শিল্প ও বণিক সমিতির সহ-সভাপতি এবং ব্যবসায়ী একেএম ফজলুল হক কাশেমের দ্বিতীয় স্ত্রী সালমা বেগমের গর্ভে জন্ম নেওয়া ৪ মাসের শিশুপুত্র নূর সাফায়েত মিজানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগে এনে নন্দীগ্রাম জুডিশিয়াল আমলী আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন সালমা বেগম। ওই মামলায় আসামি করা হয় একেএম ফজলুল হক কাশেমের (মৃত প্রথম স্ত্রীর পক্ষ) ছেলে জোবায়ের হোসেন সেতু, মেয়ে নূর আফরোজ জ্যোতি ও পুত্রবধূ সাথী আকতারকে।
এর আগে, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে আসামিরা ৪ মাসের শিশুপুত্র নূর সাফায়েত মিজানকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। চলতি বছরের ১৩ মে এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেন ওই শিশুর মা সালমা বেগম। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআই বগুড়াকে আদেশ দেন।
এরপর পিবিআই বগুড়ার এসআই নাজমুল হক মামলাটির তদন্ত শুরু করেন। তিনি ময়নাতদন্তের জন্য শিশু নূর সাফায়েত মিজানের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের আবেদন করলে আদালত একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে শিশু নূর সাফায়েত মিজানের লাশ উত্তোলন করার আদেশ দেন।
এসআই নাজমুল হক জানান, মামলাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাদী সালমা খাতুন জানান, আমার ৪ মাস বয়সি সুস্থ শিশু সন্তানকে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। আমি ন্যায় বিচারের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
একেএম ফজলুল হক কাশেম জানান, আমার দ্বিতীয় স্ত্রী সালমা খাতুন খুব লোভি মহিলা। তার আচরণ একেবারেই ভালো নয়। যে কারণে আমি তাকে ডিভোর্স দিয়েছি। তার হত্যার অভিযোগ সঠিক নয়। নিজের স্বার্থের জন্য হত্যা মামলা করেছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিব জানান, সকলের উপস্থিতিতে শিশুটির লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই
