সরকার পদত্যাগের এক-দফা দাবিতে ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে ঝিনাইদহ। কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা মিছিল থেকে থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পুলিশ বক্স ভাঙচুর, পোষ্ট অফিসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পৌরসভায় হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস ও শর্টগানের গুলি বর্ষণ করে। এক পর্যায়ে শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে পুলিশ, শিশু ও শিক্ষার্থীসহ ১১জন গুলিবিদ্ধ হয়। বিকাল ৫টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
সকালে পায়রা চত্বরে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কয়েকটি বিলবোর্ড ও ছাত্রলীগের টেন্ট ভাঙচুর করা হয়। পরে তারা সড়ক প্রদক্ষিণের সময় চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের মহাসড়কে ব্যারিকেড দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এরপর বিক্ষোভকারীরা শহরের পোষ্ট অফিসের মোড়ে এসে পুলিশ বক্স ভাঙচুর শুরু করে। পুলিশ তাদের উপর অসংখ্য টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সেখানেও একের পর এক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে।
পুলিশের টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল