জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, উপজেলা সমবায় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও ইউএনও কার্যালয়ের সামনে বগারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের গাড়িতে আগুন দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা।
রবিবার দেশব্যাপী চলমান বৈষম্যবিরোধী অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে এক দফা দাবিতে সকাল থেকে মাঠে নামে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বকশীগঞ্জ উপজেলার নুর মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা। পরে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মালিবাগ মোড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারী। এসময় কার্যালয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে ছেড়ে চলে যায়। পরে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় চত্বরের সামনে থাকা বগারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম প্রামানিকের প্রাইভেটকারে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়াও উপজেলা সমবায় কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনা বেগম বলেন, সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে বিএনপি, ছাত্রদল ও জামায়াত-শিবিরের লোকজন একসাথে এসে অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। আমাদের কিছু নেতাকর্মীও আহত হয়েছেন।
বগারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম প্রামানিক বলেন, বিশেষ কাজে সকালে আমার গাড়ি উপজেলা পরিষদের চত্বরে রেখে জামালপুর যাই। দুপুরে আমার গাড়ি পুড়ে যাওয়ার খবর পাই। এ বিষয়ে আমি থানায় অভিযোগ করবো।
বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অহনা জিন্নাত বলেন, উপজেলা গেটে থাকা বগারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের গাড়ি আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা। তবে কোন ভবনে আগুন লাগেনি।
এদিকে, জামালপুর সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের লীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও জেলার ইসলামপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে সামনে একত্র হওয়া বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্র লীগের নেতাকর্মীরা। এতে সাংবাদিকসহ ৫ জন আহত হয়।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত