বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে প্রথম দিনে ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলিতে একজন অভিভাবকসহ দুইছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে। রবিবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মিছিল জেলার প্রাণকেন্দ্র মিশনমোড়ে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা জেলা শহরের কালেক্টরেট মাঠ থেকে মিছিল নিয়ে বাইর হয়। মিছিলটি মিশনমোড়ে আসা মাত্রই সেখানে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া পুলিশের কয়েকজন অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্য মিছিল লক্ষ্য করে গুলি ছোরে। এ সময় মিছিলে অংশ নেওয়া এক অভিভাবকসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, আমরা মিশনমোড়ে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থানে ছিলাম। হঠাৎ মিছিল থেকে ইট-পাথর দিয়ে ঢিল ছুরতে থাকে। পরে আমরা আমাদের নিরাপত্তার জন্য গুলি করা হয়। সংঘর্ষের সময় ৫/৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
লালমনিরহাটে সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী ও পুলিশ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। এসময় আওয়ামী লীগ অফিস ও উপজেলা নির্বাহী অফিস, অডিটোরিয়ামে ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভ চলায় শহরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ সময় আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ ৩০ জন আহত হয়।
অপরদিকে, লালমনিহাটের কালিগঞ্জ উপজেলায় বৈষম্যয়বিরোধী শিক্ষার্থীরা তুষভান্ডার মহাসড়ক অবস্থান করেন। এরপর একটি পক্ষ কালিগঞ্জ উপজেলা চত্বরে গিয়ে নির্বাহী অফিসের বিলবোর্ড ও সিসি ক্যামেরা ও আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেন।
এ সময় পূর্ব-চৌরাস্তা মোড়ের পাশে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে হামলা চালায়, পাশের জেলা পরিষদের ডাংকবাংলোতেও হামলা চালায়। সেখানে থাকা দুইটি ট্রাকও ভাঙচুর করে। এরপর পাটগ্রাম পৌরসভায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে ও সেখানে পৌরসভার একটি ও দুইটি ট্রাকও ভাঙচুর। পরে আন্দোলনকারীরা থানা রোডের স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আগুন ধরে দেয়।
পরে আন্দোলনকারীরা স্থানীয় উপজেলা পরিষদের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করাসহ উপজেলা সমবায় কার্যালয়, উপজেলা নিবাচন কার্যালয়সহ উপজেলা পরিষদের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন অডিটরিয়ামে (মিলনায়তন) ভাঙচুর করে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই