অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়ায় অচল হয়ে গেছে পঞ্চগড় শহর। রবিবার সকাল ১০টায় হাজার হাজার শিক্ষার্থী জজ কোর্ট এলাকা থেকে মিছিল বের করে চৌরঙ্গী এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নেয়। এসময় হাজার হাজার সাধারণ মানুষ সমবেত হয়।
দুপুরের দিকে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভুইঞা মুক্তার একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আন্দোলনকারীরা। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও আমজনতা প্রথমে জেলা আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে। পরে সংরক্ষিত সংসদ সদস্য রেজিয়া ইসলাম ও তার ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছে। এ ছাড়া সংসদ সদস্যের গাড়িসহ দুটি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা।
এসব ঘটনার পরই শহরের সকল দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামের শহরের জালাসির বাড়ি, পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র জাকিয়া খাতুন, কাউন্সিলর সফিকুল ইসলাম, হাসানাত হামিদুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।
সকাল থেকেই জেলা শহর দখলে নিয়ে নেয় আন্দোলনকারীরা। অবস্থান কর্মসূচির স্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অবস্থান করা নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়।
এক দফা দাবি আদায়ে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে পঞ্চগড়ের রাজপথ। সকাল থেকে শহীদ মিনারের সামনে চৌরঙ্গী মোড়ে সমবেত হতে থাকেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। এসময় আন্দোলনকারীরা প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। বিকেল ৪টায় শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি সমাপ্তি ঘোষণা করে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই