কুষ্টিয়ায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্য, ১০ জন সাংবাদিকসহ প্রায় ৭০ জন আহত হয়েছেন। আন্দোলনকারীরা জেলা আওয়ামী লীগের অফিস, শহরের পাঁচরাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও মজমপুর গেটের ট্রাফিক বক্সে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছেন, দিয়েছেন আগুন।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নেন হাজারো আন্দোলনকারী। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের চেয়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের দেখা যায়। পরে শহরের সাদ্দাম বাজার থেকে মিছিল নিয়ে চৌড়হাস মোড়ে জড়ো হন তারা। ফেরার পথে ফুলতলায় দাঁড়ানো পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন তারা। মজমপুর গেটে যাওয়ার পথে সাদ্দাম বাজার মোড়ে এক আওয়ামী লীগ নেতার ব্যক্তিগত কার্যালয় ভাঙচুর করে। পরে মজমপুর গেটে ট্রাফিক অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন আন্দোলনকারীরা।
এরপর দিনভর শহরের এনএস রোড ও জেলা স্কুলের সামনে অবস্থান নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চালিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। পুলিশ অসংখ্য টিয়ারসেল, ছররা, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানি গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যান। পুলিশ ছাড়া অন্য বাহিনীর সদস্যদের খুব একটা তৎপরতা দেখা যায়নি। দুপুরের দিকে বিক্ষুব্ধরা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান। সেখানে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আফরোজা আক্তার ডিউকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে হামলাকারীরা।
বিডি প্রতিদিন/এএ