লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ যুবলীগ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। সংঘর্ষে ৪০ জন গুলিবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের অন্তত শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয় ও এমপি নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এবং সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন টিপুর বাসভবনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এছাড়া প্রেসক্লাব, রোজ গার্ডেন রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছে। রবিবার সকাল ৯ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত শহরের উত্তর তেমুহনী, ইলিশ চত্ত্বর, বাগবাড়ী ও তমিজ মার্কেট এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
নিহতদের ৩ জনের মরদেহ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। অপর নিহতদের একজন ঢাকায় নেয়ার পথে এবং অন্যদের একজন নুরুল ইসলাম চত্বরে ও আরো ৩ জনের মরদেহ শাখারীপাড়া এলাকায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। নিহতরা হলেন কাউছার, সাব্বির, ওসমান গনি, আহসান, হারুন মেম্বারসহ ৮জন। আহতদের একই হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তবে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অরুপ পাল ৪ জন নিহত ও আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সন্ধ্যা ৭ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান করতে দেখা যায়। এদিকে এসব ঘটনা চলাকালীন সময়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্যকে মাঠে দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শুরুতেই প্রশাসনকে (জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন) আটকে রেখে জিম্মি করে আন্দোলনকারীরা অগ্রসর হয়। এরপর দিনভর সংঘর্ষ চলে। এখন পর্যন্ত ৮ জন নিহতের খবর শুনেছেন বলে জানান তিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সন্ধ্যা ৬টা থেকে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, ৪ প্লাটুন বিজিবি ও পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান ডিসি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল