শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং বোন শেখ রেহানাসহ দেশত্যাগের খবরে পর উচ্ছ্বসিত জনতার ঢল নামে দিনাজপুরের বিভিন্ন শহরের সড়কে। কারও হাতে লাল-সবুজের পতাকা, কারও হাতে বাঁশি, কেউবা থালাবাসন বাজিয়ে করছেন উল্লাস, চলছে ভুয়া ভুয়া স্লোগান। ঘর থেকে পথে বের হয়ে আনন্দ মিছিলে অংশ নেয় হাজারো মানুষ। আবারো অনেক শহরের বিভিন্ন গলির মুখে সড়কে হাত নাড়িয়ে বিজয় মিছিলকে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যায়। বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণও করা হয়। এসব মিছিলে শিশু থেকে বৃদ্ধ, সবাই সড়কে নেমে উল্লাস করছেন। এ সময় রাস্তায় সেনা সদস্যদের দেখতে পেয়ে তাদের স্যালুট ও করমর্দন করতে দেখা গেছে অনেককে।
শহরের বিভিন্ন সড়কে আওয়ামী লীগের ব্যানার-ফেস্টুন-ফলক সবকিছুই ভেঙে ফেলা হয়েছে। এর আগে শহরের বাসুনিয়াপট্টি এলাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আসবাবে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
এর আগে সকাল থেকে দলবদ্ধ হয়ে শহরের ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরের অলিতে-গলিতে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। থেমে থেমে ১০-১৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে বেলা ২টার পর থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় মিষ্টি বিতরণ। এরই মধ্যে শহরের বুটিবাবুর মোড়, মালদহপট্টি হয়ে একদল আন্দোলনকারী শহরের বাসুনিয়াপট্টি এলাকায় আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়।
কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনাকারীরা আমাদের পালস বোঝেননি। তারা তাদের মতো রাষ্ট্র চালিয়েছেন। আমাদের মতামতের গুরুত্ব দেননি।
একজন বৃদ্ধ বলেন, দীর্ঘ ১৫টা বছর ভোট দিতে পারি নাই। এ দেশ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু সুন্দর দেশটিকে লুটপাট করে শেষ করে দিয়েছে। আজকে শিক্ষার্থীরা আমাদের অধিকার আদায় করে দিয়েছে। এ যুগের শিক্ষার্থীদের সালাম জানাই।
বিডি প্রতিদিন/এএ
বিডি প্রতিদিন/এএ