লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। মেঘনা নদীর পানির উচ্চতা বিপদ সীমার নিচে প্রবাহিত হলেও নোয়াখালীর পানি ঢুকে এখনও প্লাবিত হচ্ছে অনেক এলাকা। তবে বাঁচার আকুতি ও ত্রাণের আর্তনাদ করছেন জেলার লাখো বন্যার্ত মানুষ। ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠন। চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত ত্রাণ মিলছেনা দুর্গম এলাকায়, না পাওয়ার আক্ষেপ রয়েছে অনেকের।
স্থানীয় প্রশাসন বলছেন, লক্ষ্মীপুরে সাড়ে ৭ লাখ মানুষ বন্যায় পানিবন্দি হয়ে আছে। ৩০ হাজার মানুষ আশ্রয়ণকেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। কিছু মানুষ আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে ঠাঁই নিয়েছে। তবে বন্যায় পানিবন্দি অধিকাংশ মানুষ চুরি-ডাকাতির ভয়ে বাড়িঘর ছাড়ছে না।
বুধবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লাহারকান্দি, দিঘলী, চরশাহী, বাঙ্গাখাঁ ও মান্দারী ইউনিয়নের দুর্গম এলাকায় পানির কারণে যাতায়াত করা যাচ্ছে না। অতিরিক্ত পানির কারণে গ্রামীণ অভ্যন্তরীণ পাকারাস্তাগুলোতেও চলাচল করা যাচ্ছে না। এতে সেখানকার পানিবন্দি মানুষদের মাঝে ত্রাণ পৌঁছেনা। এসব এলাকায় ত্রাণ বিতরণে কলাগাছের ভেলা ও নৌকার চলাচল করতে দেখা গেছে। জকসিন-চাঁদখালী, মান্দারী-দিঘলী সড়ক পানিতে ডুবে থাকায় যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। এসব এলাকার মানুষ ট্র্যাক্টরের গাড়ীতে যাতায়াত করছেন। এদিকে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের তেরবেকী ব্রীজ সংলগ্ন উত্তর পাশে শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। মানবেতর জীবন যাপন করেছে জানিয়ে এখনো কোন ত্রাণ পাননি বলে জানান। খোজ নিয়ে জানা গেছে একই অবস্থা বিরাজ করছে সদরের দত্তপাড়া, বাঙ্গাখা, লাহারকান্দি, টুমচরসহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি এলাকাতেও।
জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ মিয়া বলছেন, পৌর প্রশাসককে বিষয়টি অবহিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যান্য এলাকাগুলোতে ত্রাণ বিতরণ চলছে। তবে দুর্গম এলাকাতে ত্রাণ পৌছানো যাচ্ছেনা বলে জানান তিনি।
এদিকে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ জামান খান বলেন, নোয়াখালীর পানি লক্ষ্মীপুরে অনবরত ঢুকছে। রায়পুর ও রামগঞ্জে পানি কিছুটা কমেছে। তবে নোয়াখালীর পানি এসে ভুলুয়ার নদীতে যুক্ত হচ্ছে। নতুন করে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম