২০১৩ সালে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের সংঘর্ষকালে জামায়াত নেতা গোলাম রব্বানী নিহতের ঘটনায়, ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ ৭২ জনের নামে মামলা দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৩রা সেপ্টেম্বর) সিলেটের আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নিহতের চাচা বিশ্বনাথ উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান।
আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত তাসনিম মামলাটি আমলে নিয়ে, আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্বনাথ থানাকে। মামলায় প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী ছাড়াও বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুনু মিয়া, তৎকালীন বিশ্বনাথ থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদসহ ৭২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের আরও ১৫০-২০০জন অজ্ঞাতকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী (৫৫), বিশ্বনাথ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আলতাব হোসেন (৪৮), দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান. আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল আহমদ মতছিন (৫০), পূর্ব জানাইয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে, ছাত্রলীগ নেতা শামীম উরফে চাকু শামীম (৩২), উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আছাদুজ্জামান (৫০), সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ (৫০), যুবলীগ নেতা মুহিবুর রহমান সুইট (৩৫), রফিক আলী (৪৮), আওয়ামী লীগ নেতা বশির উরফে এংগেল বশির (৪৫), আবদুন নূর (৫০), সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নুনু মিয়া, বিশ্বনাথ পৌরসভার কাউন্সিলর ফজর আলী (৩৫), সাহাব উদ্দিন (৪০), যুবলীগ নেতা রফিক আলী (৩৮), নূর উদ্দিন উরফে সাজুর (৩৮), উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সসম্পাদক গিয়াস উদ্দিন (৩৫), আওয়ামী লীগ নেতা মকদ্দুস আলী (৪৫), আইয়ুব আলী (৪০), কালা দুদু (৩২), সাইফুর রহমান (৫৫), আলী আকবর মিলন (৫২), শাহজাহান সিরাজ (৫০), মিজাজুল হোসেন (৪৫), এনামুল হক (৪৫), আবদুশ শহিদ (৪০), সিরাজুল ইসলাম (৪১), ফয়জুর রহমান দুলু (৪২), আহমদ শরীফ (৪৫), আয়না মিয়া (৪৫), রুনুু কান্ত দে (৪৫), ফয়সল আহমদ (৪৩), আরব আলী (৪৩), শংকর চন্দ্র ধর (৩৮), হিরন মিয়া (৩৫), হোসাইন (৩২), জয়নুল আবেদীন (৪৫), যুবলীগ নেতা আবদুল হক (৪০), দবির মিয়া (৩৮), আফরুজ আলী (৪০), রুহেল খান (৩৫), সুহেল মিয়া (৪০), ফয়জুল ইসলাম জয় (৩৮), এরশাদ (৩৮), এনামুল হক (৩৮), মতিন মিয়া (৩৫), ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম রুকন (৩৬), আওয়ামী লীগ নেতা মকসুদ (৫০), ফিরোজ (৫৪), দেলোয়ার হোসেন রুপন (৫২), আবদুর রউফ (৪৫), মবশীর আলী (৪৫), শামসুল হক (৫৫), সুহেল খান (৪০), ইরন মিয়া (৫০), শেখ নূর মিয়া (৫০), রফিজ আলী (৪৫), ফখর উদ্দিন (৪৮), রফিক মিয়া (৫০), বিশ্বনাথ থানার তৎকালীন ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ, (বিপি নং-৬৫৮৮০৫২২৪২) এসআই জিয়া উদ্দিন উজ্জল (বিপি নং ৭৫৯৬০১৬৬০৩), পুলিশ পরিদর্শক রুপক কুমার সাহা (বিপি নং ৬৫৮৯১১৫২৭৫), এসআই মাজহারুল ইসলাম, কন্সটেবল আবু মুসা (কং/৬৬০), কবির হোসেন (কং/৪১২), টিটু সিংহ (কং/১১৫০), তৌফিক (কং/৬৮৭), মোস্তাক (কং/৩৩৮), আব্দুলাহ আল মামুন (কং/৭৮৭), শরিফ উদ্দিন (কং/৭৬৫), কাউছার (কং/৭৩০) ও কৃষ্ণ গোপাল (কং/৬৭)।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল