লক্ষ্মীপুরে বানের পানি কমতে শুরু করায় পানিবাহিত রোগ ডায়েরিয়া জ্বর, সর্দি ও চর্মরোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত জেলার ৫টি উপজেলায় শিশু সহ দুই হাজারের অধিক বানভাসি মানুষ আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এর পরের অবস্থানে রয়েছে জ্বর, সর্দি ও রোগীর সংখ্যা। গত দুইদিন ধরে স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রসহ সরকারি বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও বেড়েছে রোগীর চাপ। শর্য্যা সংকটের কারণে অনেক রোগী হাসপাতালের মেঝেতে থেকে নিচ্ছেন চিকিৎসা সেবা। আক্রান্তদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার, নার্সসহ সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে কলেরা স্যালাইন, সিরাপ সালফুটামল, হিসটাসিন ও ডায়রিয়া এনটিভায়োটিকসহ ওষধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়ে বাহিরে থেকে স্যালাইনসহ ওষুধ কিন্তে হচ্ছে এসব সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা।
বুধবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে তিল ধারনের জায়গা নেই। এক একটি বেডে একাধিক ডায়রিয়ার রোগীকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অনেক রোগীকেই সিটে জায়গা না দিতে পারায় হাসপাতালের ফ্লোরে বিছানা পেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অপর্যাপ্ত নার্স সংকটে রোগী ও তাদের স্বজনদের ভিড় ঠেলে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৪ জন ডায়রিয়া রোগীকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার অরূপ পাল ।
একই অবস্থা জেলার রায়পুর, রামগঞ্জ, কমলনগর ও রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালগুলোরও। লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডা. আহমদ কবির জানান, হাসপাতালগুলোতে রোগী বাড়ায় স্যালাইনসহ ওষুধের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ