বগুড়ায় ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩৬৪টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। গত ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লাইসেন্সভুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেওয়ার কথা থাকলেও বগুড়ার ৫৫ জন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এদিকে জেলা প্রশাসন বলছেন, ৩৬৪টি অস্ত্রের মধ্যে ৫৫টি বাকি থাকলেও এর সঠিক হিসাব আইনশৃঙ্খলাবাহিনী দিতে পারছেন না। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, অনেক আগ্নেয়াস্ত্র দেশের বিভিন্ন জেলায় জমা করা হয়েছে।
জানা গেছে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বগুড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেসি থেকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য প্রদত্ত সকল আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স (কর্মরত সামরিক-অসামরিক কর্মকর্তা ব্যতীত) স্থগিত করে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী লাইসেন্সভুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ গত ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লাইসেন্স গ্রহীতার স্থায়ী ঠিকানার থানায় অথবা বর্তমান বসবাসের ঠিকানার নিকটস্থ থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অস্ত্র জমা না দিলে তা অবৈধ অস্ত্র হিসেবে গণ্য করে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের হবে। এ অবস্থায় বগুড়ায় ওই সময়ের মধ্যে ৫৫ জন অস্ত্রধারী অস্ত্র জমা দেননি।
বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট পি এম ইমরুল কায়েস জানান, বগুড়ায় ৩৬৪টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ৫৫টি অস্ত্র এখনও জমা পড়েনি। যারা অস্ত্র জমাদানে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্র উদ্ধার করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম