নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিভিন্ন মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ায় অভিযোগে রহিমা আক্তার নামে এক নারীকে আটক করেছে ছাত্র জনতা। পরে দুর্গাপুর থানা পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়।
রবিবার দুপুরে দুর্গাপুর পৌর শহরের সাধুপাড়া এলাকায় গিয়ে নতুন প্রতারণার ফাঁদ পাতার সময় তাকে ধরে ফেলেন ভুক্তভোগীরা। পরে বৈষম্যের বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ও সাধারণ জনতা তাকে থানায় হস্তান্তর করে।
সাধুপাড়া এলাকায় অবস্থিত দেশ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তোফায়েল শিমুল জানান, তাদের স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির হাতে পায়ে ধরে আয়া পদে চাকুরি নেন এই রহিমা আক্তার। কিন্তু তার বিরুদ্ধে নানা প্রতারণার অভিযোগ আসতে থাকায় কর্তৃপক্ষ তাকে গত দুবছর পূর্বে স্কুল থেকে বের করে দেন। তিনি স্কুলের পরিচয় দিয়ে দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মাতৃকালীন ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ বাড়ি ও টিউবওয়েল দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন অংকের টাকা উত্তোলন করে আসছিলেন। বেশ কিছুদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে আসছেন স্থানীয়রা। পুনরায় তার এলাকায় আসার খবরে রবিবার সকাল থেকে দুর্গাপুর পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয় ভুক্তভোগীরা।
দুপুরের দিকে ওই বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ভুক্তভোগীরা তাকে হাতে নাতে আটক করে। এসময় সকলের টাকা ফেরত চাইতে থাকে। একে একে সকল ভুক্তভোগীরা খবর পেয়ে আসতে শুরু করেন এবং তাকে দেয়া অর্থ ফেরত চান।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা গণপিটুনি থেকে বাঁচিয়ে থানা পুলিশে হস্তান্তর করে। সাথে স্কুলের শিক্ষকরাও ছাত্রদের সহযোগিতা করেন।
ভুক্তভোগী মমতা বেগম জানান, পানির মোটর দেয়ার কথা বলে আমার কাছে ১৩ হাজার টাকা নিয়েছে গত তিন বছর আগে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই তার পেছনে ঘুরছি আজ দেবে কাল দেবে করে আমাদেরকে ঘুরাচ্ছে। মোটরও নাই টাকাও নাই।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান, স্থানীয়রা রহিমা আক্তার নামে এক নারীকে থানায় দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আছে। লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল