অল্প পুঁজিতে অধিক লাভের আশায় রাস্তার ধারে ও পুকুর পাড়ে আধা কিলোমিটার এলাকার পরিত্যক্ত জমিতে বাণিজ্যিকভাবে গ্রিন লেডি জাতের পেঁপে চাষ করে সফলতা পেয়েছে খানসামার কৃষক আলতাফ হোসেন।
দিনাজপুরের খানসামার খামারপাড়া ইউপির ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক মো: আলতাফ হোসেন ওই এলাকার বলরাম বাজার থেকে জমিদারনগর যাওয়ার রাস্তার পরিত্যক্ত জমিতে এই পেঁপে চাষ করেন। উন্নত এ জাতের পেঁপে গাছ রোপণে তার খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।
শুক্রবার দেখা যায়, বলরাম বাজার থেকে জমিদারনগর যাওয়ার রাস্তার এক ধারে, পুকুর পাড় ও পরিত্যক্ত জমিতে সারিবদ্ধ ভাবে পেঁপে গাছ লাগানো। পেঁপে গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক আলতাফ। এতে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে তাঁর নিজ খামার থেকে তৈরী জৈবসার ব্যবহার করছেন কৃষক আলতাফ।
কৃষক আলতাফ হোসেন ইউটিউবে পেঁপে চাষ বিষয়ে জানতে পেরে আগ্রহ শুরু হয় চাষের। পরে উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে বগুড়া থেকে থাইল্যান্ডের গ্রিন লেডি জাতের ৪০০ পেঁপে চারা এনে রোপণ করেন। প্রতিবছর এপ্রিল থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত মাসে প্রায় ৩ বার ১০-১৫ মণ করে পেঁপে বিক্রি করেন। প্রতি কেজি পেঁপের বাজারমূল্য ১৫-২০ টাকা। তবে বর্ষাকালে পেঁপের চাহিদা বেশি থাকায় প্রতি কেজি পেঁপের মূল্য ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়।
এ ব্যাপারে কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন, ছোটবেলা থেকে কৃষিতে বাড়তি আগ্রহ থাকায় চাষাবাদে সম্পৃক্ত হয়েছেন। ইউটিউব ও কৃষি অফিসারের পরামর্শে পরিত্যক্ত জমিতে অল্প পুঁজিতে লাভের আশায় পেঁপে চাষ শুরু করি। গত মৌসুমে প্রায় ৩ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করি এবং চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত দেড় লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করেছি।
তিনি আরো বলেন, সবাই যদি পরিত্যক্ত জমিতে চাষ করে তাহলে সবজি চাহিদা পূরণের সাথে আর্থিকভাবেও লাভবান হতে পারবে। আগামীতে ব্যাপক পরিসরে পরিত্যক্ত জমি ব্যবহার উপযোগী করবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইয়াসমিন আক্তার বলেন, আলতাফ হোসেন গত বছরের শুরুতে কৃষি বিভাগের পরামর্শে গ্রিন লেডি জাতের পেঁপের চারা লাগিয়েছিলেন। এতে ভালো ফলন ও আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছেন। এমন ব্যতিক্রমী যেকোনো চাষাবাদ বৃদ্ধি করতে কৃষি বিভাগ নিয়মিত কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে যেন কোন জমি পরিত্যক্ত বা অনাবাদি হয়ে পড়ে না থাকে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল