পদ্মার ভাঙন ঠেকানোর দাবি নিয়ে কুষ্টিয়ার মিরপুরে উপজেলার কয়েকশ মানুষ কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয় ঘেরাও করেছে। বৃষ্টি মাথায় রেখে রবিবার দুপুর ১২টার দিকে তারা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলায় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া, বহলবাড়িয়া ও সাহেবনগরসহ আশপাশের এলাকায় ইতোমধ্যেই কয়েকশ বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলার অভিযোগ তুলে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা বলেন, হুমকির মুখে পড়েছে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী জাতীয় মহাসড়ক। দেশের উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি যেকোনো মুহূর্তে বিলীন হতে পারে নদীগর্ভে।
সাহেবনগর নদী ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অপু বলেন, বিগত তিন বছর যাবৎ নদীগর্ভে শত শত একর আবাদি জমি বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে জাতীয় গ্রিডের ছয়টি বিদ্যুৎ সঞ্চালনের টাওয়ারসহ বসতবাড়ি, শতবর্ষী স্কুল-কলেজ হুমকির মুখে রয়েছে। কুষ্টিয়া ঈশ্বরদী-মহাসড়ক থেকে নদী মাত্র ৫০ মিটার দূরে রয়েছে। সড়কটি যেকোনো সময় ভাঙনের কবলে পড়বে।
তিনি অভিযোগ করেন, এসব এলাকার ভাঙনরোধে সরকারিভাবে ১ হাজার ৪শ ৭২ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও চলতি মৌসুমে কোনো ধরনের জিও ব্যাগ ফেলার কাজও করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। তিনি দ্রুত ওই প্রকল্পের মাধ্যমে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।
এ সময় বিক্ষোভকারীদের পক্ষে নদী ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির নেতারা কথা বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড, কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমানের সঙ্গে। পরে ওই কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সাহেবনগর বেড়িবাঁধসহ বিপর্যস্ত এলাকায় রবিবার থেকেই জিও ব্যাগ ও টিউব ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হবে। এ ছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে শুরু হবে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ। পরে ঘেরাও কর্মসূচি স্থগিত করে স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন ঠেকাতে ফিরে যান ওই এলাকার বাসিন্দারা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল