বাগেরহাটে টানা ভারি বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হয়েছে কয়েক হাজার বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ভেসে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে হাজার-হাজার চিংড়ি ঘের ও মাছের খামার। গত দু’দিন ধরে একটানা ভারি বৃষ্টিপাতে জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, রামপাল, কচুয়া ও বাগেরহাট সদর উপজেলার বৃস্তির্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ ও মোংলা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
হাটু পানিতে ডুবে গেছে প্রধান প্রধান সড়কগুলো। যে কারণে বিপাকে পরেছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। এছাড়া সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে ও জেলার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রেগুলোতে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে হাজারো মাছ ধরা ট্রলার। মোংলা বন্দরকে ৩নং সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তবে ভারি বৃষ্টিপাতে ব্যাহত হচ্ছে মোংলা বন্দরের পণ্য ওঠা নামার কাজ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় বাগেরহাট জেলাজুড়ে ২৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে মোংলা আবহওয়া অফিস। এখনও পর্যন্ত জেলার নদ-নদীর পানি বিপদসীমার সামান্য নিচে প্রবাহিত হলেও বৃষ্টিপাত অভ্যাহত থাকলে পরিস্থিতি খারাপ হবে বলে জানিয়েছে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে জেলার কয়েক হাজার চিংড়ি ঘের ও মাছের খামার ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা করছে জেলা মৎস্য অফিস।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত