রংপুরে জবাই করে ব্যবসায়ী মোক্তারুল ইসলাম (২৬) হত্যার রহস্য উন্মোচনসহ দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হল মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের অভিরাম নুরপুরের হান্নান মিয়ার ছেলে তহিদুল ইসলাম (৩৬) ও একই এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে আল আমিন মিয়া (৩৭)। শনিবার বলদীপুকুর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সেই সাথে মোক্তারুলের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলও উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মোক্তারুল অভিরাম নুরপুর গ্রামের কলম উদ্দিনের ছেলে। রবিবার দুপুরে রংপুর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় মিলনায়তনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে মোক্তারুল বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর ফিরে আসেনি। পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুুঁজির এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বলদিপুকুর পল্লী বিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিসের সামনে মোক্তারুলের গলাকাটা লাশ দেখতে পায়। এ ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর মোক্তারুলের মা কল্পনা বেগম বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনাসহ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মোক্তারুল হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী তহিদুল ও আল আমিনকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে জানায়, সুদের টাকা নিয়ে মোক্তারুলের সাথে তাদের বিরোধ ছিল। এ থেকে তারা মোক্তারুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরই অংশ হিসেবে গত ৯ সেপ্টেম্বর মোক্তারুলকে হত্যার স্থানে নিয়ে যেতে খোরশেদ নামে এক ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেয় তহিদুল ও আল আমিন। খোরশেদ কৌশলে মোক্তারুলকে হত্যার স্থানে নিয়ে যায়। এরপর খোরশেদ এবং আরও ৪ জন ব্যক্তি মোক্তারুলকে ছুরিকাঘাত করে।
পুলিশ সুপার বলেন, আমরা হত্যার মাস্টার মাইন্ড দু’জনকে গ্রেফতার করেছি । সুদের কারবারে মোক্তারুলের ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা লগ্নি রয়েছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ তার কাছে সুদের উপরে টাকা নিয়েছে। এ হত্যার সাথে অর্থ নিয়েছে এমন লোকজনও জড়িত থাকতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি। আসামিদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ