ময়মনসিংহের ভালুকায় অটোরিকশা চালক খালেদ সাইফুল্লাহকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মোহাম্মদ রবিন (২৩) ও কবির হোসেন (৩৫) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়মনসিংহ র্যাব ১৪-এর একটি দল সোমবার ভোরে গফরগাঁও উপজেলার সালটিয়া এলাকায় এবং ভালুকা থানাধীন ভান্ডাব এলাকায় পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেফতার ও ছিনতাইকৃত অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামি ভালুকা উপজেলার ভান্ডাব ধাইরা পাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে কবির ও একই গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে রবিন হত্যাকাণ্ডের শিকার খালেদ সাইফুল্লাহর অটোরিকশাটি ভালুকা বাসস্ট্যান্ড থেকে উপজেলার রান্দিয়া গ্রামে যাওয়ার উদ্দেশে ভাড়া করে।
পরে রান্দিয়া মুন্সীবাড়ি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছামাত্র কবির হোসেন চালক খালেদ সাইফুল্লাহকে চাকু দিয়ে পেটে আঘাত করে। এ সময় অপর আসামি রবিন গাড়ি থেকে খালেদ সাইফুল্লাহকে নামিয়ে রাস্তার পাশে ধরে রাখে এবং কবির হোসেন সাইফুল্লাহকে ছুরি দিয়ে পরপর বেশ কয়েকটি আঘাত করে। একপর্যায়ে গলায় ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে রাস্তার পাশে একটি ঝোপে ফেলে রেখে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে মডেল থানা পুলিশ ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে ঘটনাস্থল থেকে গলাকাটা অবস্থায় অজ্ঞাত হিসেবে খালেদ সাইফুল্লাহর লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। পরে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে লাশটি শনাক্ত ও অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে ভালুকায় মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের শিকার খালেদ সাইফুল্লাহর বাবা উমর ফারুক বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
উল্লেখ্য, হত্যাকাণ্ডের শিকার মো. খালেদ সাইফুল্লাহ (২৮) ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানাধিন আকুয়া ওয়ারলেস পাড়ার উমর ফারুকের ছেলে। তিনি ভালুকা উপজেলার কাঠালী পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় জেসমিন আক্তারের বাসায় সপরিবারে ভাড়া থেকে ভালুকা বাজারসহ আশপাশের এলাকায় অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্যই খালেদ সাইফুল্লাহকে হত্যা করেছে বলে গ্রেফতার আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে শিকার করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই