রাজবাড়ীতে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পাঁচ উপজেলার রোপা আপন, মাষকলাই ডাল, আগাম শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে প্রায় ১ হাজার ৫১১ হেক্টর ফসলি জমি। কৃষি উপকরণে বাড়তি দাম; অন্যেিদক বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতিতে চিন্তার ভাজ কৃষকদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে রোপা আপন ১ হাজার ২২৫ হেক্টর, মাসকলাই ১৯ হেক্টর, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ০.৩ হেক্টর, মরিচ ১৫ হেক্টর, সবজি ৯৭ হেক্টর, পেঁপে ৮ হেক্টর, কলা ৪২ হেক্টর ও আখ ১০৫ হেক্টর ফসলি জমি আক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। কৃষি বিভাগ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারনে কাজ করছেন।
মঙ্গলবার জেলার সদর ও বালিয়াকান্দি উপজেলার বেশ কয়েকটি মাঠে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চলের জমির ফসল পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। বিশেষ করে বালিয়াকান্দি জামালপুর ইউনিয়নের গুপ্তলক্ষনদিয়া ও খামারমাগুরা মাঠের আগাম ফুলকফি পানির নিচে রয়েছে। এছাড়া সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি মাঠে গিয়ে দেখা যায়, এসব মাঠের ধান, শসা ও কচু পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির পানি খাল দিয়ে প্রবাহিত না হওয়ার কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। খালের পানি প্রবাহ বন্ধ থাকায় এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে ।
বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের কৃষক মো. মোস্তাফা শেখ বলেন, আমাদের জামালপুর আগাম শীতকালীন সবজি চাষ হয়। বৃষ্টির কারণে অনেক জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তবে যে বৃষ্টি হয়েছে এতে ফুলকফির ফুল পচে যাবে। আমাদের এই ইউনিয়নের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের কৃষক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মিজানপুর ইউনিয়নের মহাদেপুর ও পোগীনাথপুর এলাকায় বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। শত শত হেক্টর জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানি নামার কোন রাস্তা নাই। যে কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে। জলাবদ্ধতার কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি বলে জানান এই অঞ্চলের কৃষকেরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের প্রায় দেড় হাজার হেক্টর ফসলি জমি আক্রান্ত হয়েছে। জমি থেকে পানি নেমে গেলে আমরা কৃষকদের পরামর্শের পাশাপাশি উৎপাদনে সহায়তা করবো।
বিডি প্রতিদিন/এএম