কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী, চিলমারী, উলিপুর ও রাজারহাটসহ ৪ উপজেলায় গরুর ক্ষুরা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিনে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলার ৪ উপজেলার প্রায় ২৭টি গরু মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, ক্ষুরা রোগের কারনে জেলার গবাদি পশু খামারিদের অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বলে অভিযোগে জানা যায়।
কিন্তু জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ গবাদি পশু খামারিদের দুশ্চিন্তিত হওয়ার কোন কারন নেই বলে জানিয়েছে। কেননা ভাইরাস জনিত গরুর এ ক্ষুরা রোগের চিকিৎসা দেয়া হলে গরু মারা যাওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না।
খামারিদের সুত্রে জানা গেছে, জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বজলের খামার চন্দ্রখানাটারী গ্রামে বেশ কিছু খামারীর গরুগুলোর মধ্যে এ রোগের প্রকোপ বেশি দেখা দিয়েছে। এ রোগের লক্ষণ হিসেবে প্রথমে জ্বর দেখা দেয় এরপর কাঁপুনি শুরু হয়ে মুখ দিয়ে লালা পড়তে থাকে।রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও তা কোন কাজে আসছেনা বলে জানান অনেক গরুর মালিক। ইতোমধ্যেই এ গ্রামে পর্যায়ক্রমে গত দুই সপ্তাহে অন্তত: ১৫টি গরু মারা গেছে বলে জানান খামারিরা। এদিকে,উপজেলার পানিমাছকুটি গ্রামের ফরহাদ হোসেন টুকু জানান, অনেক চিকিৎসা দেয়ার পরেও আমার একটি গরুকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।সাথে থাকা বাকী গরুগুলোর অবস্থাও ভাল নেই।গরুর খামারী আটিয়াবাড়ীর জাইদুল হক বলেন, যেভাবে গরুর ক্ষুরা রোগ দেখা দিচ্ছে তাতে আমি ও অনেক খামারী গরু নিয়ে আতংকে রয়েছি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, এ পর্যন্ত জেলায় মোট গত দুই সপ্তাহে অনাকাঙ্খিতভাবে ১৫টি গরু মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটলেও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি ক্ষুরা রোগে প্রতিকারের। তাপমাত্রা বেশি থাকার কারনে হৃদরোগে গরুগুলো মারা যাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম