টাঙ্গাইলের সখীপুরে আকস্মিক ঝড়ে ভেঙে গেছে ৫০ হেক্টর জমির কলা বাগান। সোমবার রাত ১২ টার দিকে এ ঝড় বয়ে যায়। এতে উপজেলার কালিদাস, বগা প্রতিমা, ছোট মৌশা, প্রতিমা বংকী, মুচারিয়া পাথার, কুতুবপুর, বড়চওনা, হতেয়াসহ ৬ টি ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় উপজেলা কৃষি অফিস। এ ছাড়া বিভিন্ন গাছপালাসহ বেশ কিছু ঘরবাড়ি ভেঙেছে।
সরজমিনের দেখা যায়, ঝড়ের কবলে হাজার হাজার কলা গাছ ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়েছে বাগান। বেশ কিছু গাছে কলার কাদি বের হয়েছে কিন্ত কলা পরিপক্ক হয়নি। রঙিন সাগরের চেয়ে সবরি কলা গাছ বেশি ভেঙ্গে গেছে। টিকে থাকা কলা গাছগুলোর অবস্থা আরও নাজুক। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কলা চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর সখীপুরে প্রায় ৪৫০ হেক্টর জমিতে কলা গাছ লাগানো হয়েছে। আকস্মিক ঝড়ে ৫০ হেক্টরেরও বেশি জমির কলা গাছ ভেঙ্গে গেছে। এই উপজেলায় রঙিন সাগর, হিম সাগর ও সবরি কলার চাষ বেশি হয়ে থাকে।
উপজেলার কালিদাস গ্রামের আলমগীর হোসেন বলেন, এ বছর সাত হাজার কলা গাছের চারা লাগিয়েছি। এর মধ্যে চার হাজার ছিল সবরি কলা। রাতের আকস্মিক ঝড়ে প্রায় সবগুলো সবরি কলা গাছ ভেঙ্গে গেছে। প্রতিটি কলা গাছে প্রায় তিন শত টাকা করে খরচ হয়েছে। আর দুই-আড়াই মাস পর কলা বিক্রির উপযোগী হতো।
সোলাপ্রতিমা গ্রামের হায়দার আলী বলেন, ধার করে ৫’শ কলা গাছ লাগিয়েছি। ঝড়ে প্রায় অর্ধেক গাছ ভেঙেছে। এক মাস পর কলাগুলো বিক্রি করা যেত।
হতেয়া গ্রামের আমির আলী বলেন, জমি লিজ নিয়ে বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ করে কলা বাগান করেছি। ঝড়ে সব শেষ হয়ে গেছে। এখন কি করবো জানি না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ান্তা বর্মণ বলেন, এই আকস্মিক ঝড়ে অন্যান্য ফসলের তুলনায় কলা বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি প্রায় ৫০ হেক্টর জমির কালা গাছ ভেঙে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কলাচাষিদের নামের তালিকা করে জেলা কৃষি অফিসে পাঠানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ