মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় দিনাজপুরের থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। দুইদিনে দিনাজপুরে টানা ভারী বর্ষণে দেশের সর্বোচ্চ ১৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে। মুষলধারে বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুল,কলেজগামী শিক্ষার্থী, খেটে খাওয়া দিনমজুরসহ সাধারণ মানুষ।
অপরদিকে শহরের বিভিন্ন খানাখন্দে রাস্তায় পানি জমে থাকায় ভোগান্তিতে মানুষ। বিশেষ করে ৭নং উপশহরের সকল রাস্তায় বৃষ্টির পানি আর ড্রেনের পানি একাকার হয়ে গেছে। চলাচলে ভোগান্তি বেড়েছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে শুক্রবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ১৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা গত ২৪ ঘন্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।গত বৃহস্পতিবার থেকে দিনাজপুরেও বৃষ্টি শুরু হয়েছে শুক্রবারও সারাদিন অঝরে বৃষ্টি পড়ছে। বৃষ্টির ফলে দিনাজপুর শহরের কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
ভ্যানচালক দুলাল হোসেন ও দিনমজুর ফরহাদ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে করে বৃষ্টির মধ্যে ভিজে ভ্যান চালাতে সমস্যা হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে মানুষের তেমন উপস্থিতি নেই। এতে আয় রোজগার কমে গেছে। বৃষ্টির কারণে কাজে যেতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর শ্রমিকরা।
দিনমজুর মোতালেব হোসেন বলেন, শহরের ষষ্ঠী তলায় শ্রম বিক্রি করতে এসেছিলাম আজকে দিন হাজিরা কাজ পায়নি। কাজ না পেয়ে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি। বাড়িতে চাল নেই, আজকে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকটাই কষ্টের মধ্যে রয়েছে।
পথচারী সবুর চৌধুরী জানান, দিনাজপুর শহরের কয়েকটি রাস্তায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় চলাচল করা যাচ্ছে না। বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। বেশিরভাগ রাস্তাগুলো খানাখন্দকে ভরে গিয়েছে।
তবে কৃষক হামিদুল ইসলাম বলেন, বৃস্পপতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে ধানের জমি শুকিয়ে গেলেও এই বৃষ্টির পানিতে ক্ষেত ভরে গেছে। এই বৃষ্টি আমন ধানের জন্য অনেক উপকার হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম