'জলাতঙ্ক নির্মূলে প্রয়োজন সকল প্রতিবন্ধকতা নিরসন' এবারের এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে দিনাজপুরে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দিনাজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আয়োজনে জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের হলরুমে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভার পূর্বে বর্ণাঢ্য র্যালির নেতৃত্ব দেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুর রহিম, জেলা ভ্যাটেরিনারী অফিসার ডা. আশিকা আকবর তৃষা ও অতিরিক্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সারোয়ার হোসেন।
সভায় বক্তারা বলেন, কুকুরকে ভালোবেসে নিয়মিত খাদ্য খাওয়াতে পারলে এবং ভ্যাকসিন গ্রহণ করালে ২০৩০ সালের মধ্যে জলাতঙ্ক রোগ নির্মূল করা যাবে। জলাতঙ্ক রোগের এখন পর্যন্ত কোনো চিকিৎসা আবিষ্কার হয়নি ফলে এ রোগে মৃত্যু অনিবার্য। তাই এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে গণসচেতনতা খুবই প্রয়োজন। সারাবিশ্বে বছরে উনষাট হাজার এর অধিক লোক মারা যায় জলাতঙ্ক রোগে। তার মধ্যে বেশিরভাগ শিশু ও কিশোর রয়েছে। ৯৯ ভাগ জলাতঙ্ক রোগের উৎস মূলত কুকুর। ওয়ান হেল্থ এর অ্যাপ্রোচে কুকুরকে টিকা প্রদানের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে এই রোগ নির্মূল করা সম্ভব হবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুর রহিম এর সভাপতিত্বে বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সারোয়ার হোসেন।
প্রধান আলোচক ছিলেন জেলা ভ্যাটেরিনারি অফিসার ড. আশিকা আকবর তৃষা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম কিবরিয়া, বিরল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কাজী মাহাবুব হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কাহারোল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু সরফরাজ, চিরিরবন্দর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রায়হান আলীম ডা. মো. জলিলম ইএলও মোছা. সোয়াইবা প্রমুখ।
উপস্থিত অংশগ্রহণকারীদের পক্ষে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন নাহিদ ইসলাম সোহাগ, মাসুদা খাতুন, সিরাজুম মনিরা, উবন।
র্যালি ও আলোচনা সভায় দিনাজপুর সদর উপজেলাসহ ১৩ উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাবৃন্দ, পশু পালন ব্যক্তিবর্গ, পশু ওষুধ বিক্রেতাগণ এবং ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিবৃন্দ-শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল