হবিগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আওয়ামী লীগের কোনো ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না, সকল চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেয়া হবে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেই বিডিআর বিদ্রোহের সময় দেশসেরা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের হত্যার মধ্য দিয়ে গণহত্যা শুরু করেন। আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর কথিত ফাঁসির রায় দেয়ার দিন সারা দেশে যখন প্রতিবাদ শুরু হয় তখন শেখ হাসিনার নির্দেশে ২৫০ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়। সেটা ছিল দ্বিতীয় গণহত্যা।
তিনি বলেন, তৃতীয় গণহত্যা ছিল ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে। হেফাজতে ইসলামের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে শেখ হাসিনার নির্দেশে রাতের আঁধারে গণহত্যা চালানো হয়। শেখ হাসিনার চূড়ান্ত গণহত্যা ছিল জুলাই গণহত্যা। ছাত্ররা অধিকারের কথা বলেছিল, তাদেরকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়। হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে ছাত্র জনতাকে হত্যা করা ছিল শেখ হাসিনার নৃশংস গণহত্যা।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে জেলা জামায়াত ইসলামীর আয়োজনে সিরাতুন্নবি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। মাওলানা মুখলিছুর রহমানের সভাপতিত্বে কাজী মহসিন আহমেদ ও অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলামের পরিচালনায় সিরাত মাহফিলে প্রধান বক্তা ছিলেন শায়েখ মাহমুদুল হাসান। বক্তব্য রাখেন মাওলানা রফিক বিন বদরুল হুদাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সিরাত মাহফিলে হবিগঞ্জ জেলার সকল উপজেলা আমির, সেক্রেটারিসহ ছাত্রশিবিরের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল