বেনাপোল চেকপোস্টে অভিযান চালিয়ে পাসপোর্টধারীদের কাছ থেকে অর্থ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে পেশাদার ৫ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের শরীর তল্লাশি করে ১১০ পুরিয়া হেরোইন উদ্ধার করা হয়। তাদের নামে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
শনিবার পাসপোর্টধারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চৌধুরী সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় গোপন ঘর থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বেনাপোল পৌরসভার ভবারবেড় গ্রামের সমেদ হাওলাদারের ছেলে শামিম, ঘিবা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রনি, বড় আঁচড়া গ্রামের ইমরান, পিতা শহিদুল ইসলাম, বড় আঁচড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ইমরান, সাদিপুর গ্রামের সাহাজুল ইসলামের ছেলে আসাদুল ও ইশার উদ্দিনের ছেলে মিরাজ। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত জানিয়েছেন, এসব প্রতারকরদের বিরুদ্ধে পাসপোর্টধারীদের জিম্মি করে প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগে চেকপোস্ট সীমান্তে গোপন আস্তানাগুলো বন্ধ করা হয়। কিন্তু প্রতারকরা সে ঘরের তালা ভেঙে আবারও আস্তানা গড়ে পাসপোর্টধারীদের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নিচ্ছে। এ ধরনের অভিযোগে অভিযান চালিয়ে একটি আস্তানা থেকে ৫ চিহ্নিত ছিনতাইকারীকে ধরা হয়। এ সময় তাদের শরীর তল্লাশি করে প্রত্যেকের পকেট থেকে হেরোইনের পুরিয়া উদ্ধার করা হয়। এছাড়া প্রতারণার মাধ্যমে ছিনিয়ে নেওয়া অর্থ উদ্ধার করে পাসপোর্টধারীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে গত সপ্তাহে চেকপোস্ট এলাকায় পাসপোর্টধারী প্রতারণার সাথে জড়িত ৮টি আয়না ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয় পুলিশ। তবে প্রতারকরা সে তালা ভেঙে আবার আস্তানা গড়ছে। এদের বিরুদ্ধে একাধিকবার দেওয়া হয়েছে প্রতারণা মামলা। তবে বারবার তারা ফিরে এসে আবারও প্রতারণায় জড়াচ্ছে। কোনোভাবে বন্ধ হচ্ছে না এসব কার্যক্রম। তাদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল