বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ওমর ফারুক নামে এক শ্রমিক নিহত হওয়ার ৫৪ দিন পর আদালতের নির্দেশে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানাধীন নুরাবাদ ২ নম্বর ওয়ার্ডে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। নিহত ওমর ফারুক ঢাকায় একটি মুদি দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ সালেক মূহিত, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সালেক মূহিত বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে ওমর ফারুকের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালীন মোহাম্মদপুর এলাকার আল্লাহ করিম মসজিদ ফুটওভার ব্রিজের নিচ দিয়ে বাসায় যাওয়ার পথে পুলিশের গুলিতে ওমর ফারুক নিহত হন।
৬ আগস্ট ঢাকা থেকে লাশ এনে ওমর ফারুককে স্বজনরা তার বাড়ি চরফ্যাশনের নুরাবাদ দাফন করেন। ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে নিহতের বাবা মিলন ফরাজী বাদী হয়ে ৫৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই