ভোলায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের ৩০ কেজি চাল মিলেনি প্রায় ৫৪ হাজার দরিদ্র পরিবারের। আর চাল না পেয়ে দুঃখ ও কষ্টে জীবন কাটছে দরিদ্র পরিবারগুলোর।
সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও গত ৫ আগস্টের পর ডিলাররা লাপাত্তা হওয়ায় চাল পাননি সুবিধাভোগীরা। তাই দ্রুত ডিলার নিয়োগ করে দরিদ্র পরিবারে চাল বিতরণ করার দাবি জানান সুবিধা বঞ্চিত পরিবাররা।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আহসানুল হক বলেন, প্রতি বছর মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর পাঁচ মাসে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর কার্ডধারী দরিদ্র পরিবারের মাঝে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। আর চাল বিতরণের জন্য জেলায় রয়েছে ১৭২ ডিলার। এরমধ্যে ১০৭ ডিলার না থাকায় চাল বিতরণ হয়নি কার্ডধারী প্রায় ৫৪ হাজার দরিদ্র পরিবারের মাঝে। ভোলা সদর উপজেলায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ২৩ ডিলার না থাকায় চাল পাননি প্রায় ১২ হাজার পরিবার।
লালমোহন ও মনপুরা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অবনি দাস বলেন, লালমোহন খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ২৬ ডিলার না থাকায় ১৪ হাজার ৩৮৭ জন, চরফ্যাশনে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ৫০ ডিলার না থাকায় ২৪ হাজার ৩৮৭ জন, মনপুরায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ৮ জন ডিলার না থাকায় ৩ হাজার ২৪৭ দরিদ্র পরিবার চাল পাননি।
ভোলা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এহসানুল হক জানান, ভোলা জেলায় চার উপজেলা চরফ্যাশন, মনপুরা, লালমোহন ও ভোলা সদরে ১০৭ জন ডিলার না থাকায় আমরা নতুন করে ডিলার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। খুবই দ্রুত ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এই চার উপজেলায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ হলে জেলার ৫৪ হাজার সুবিধাভোগী দরিদ্র পরিবার খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগ করবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল