কাস্টমস সোমবার রাতে বন্দরের একটি গুদাম থেকে কাগজপত্র বিহীন ভারতীয় শাড়ীসহ ৪৮৫ প্যাকেজের কাপড়ের চালান আটক করেছে। আটককৃত পণ্য চালানটির মোট ওজন ১৭ হাজার কেজি এবং শুল্ককরাদিসহ কাপড়ের মূল্য প্রায় এক কোটি ৭০ লক্ষ টাকা বলে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। চালানটি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বন্দর থেকে বের করা হচ্ছিল বলে জানা গেছে।
সোমবার সন্ধার দিকে বন্দরের ১৭ নাম্বার গুদাম থেকে গোপনে বাংলাদেশি ট্রাকে উঠানোর সময় গোপন সংবাদে পন্য চালানটি আটক করা হয়। কাস্টমসের উপস্থিতি টের পেয়ে সিএন্ডএফ এজেন্ট ও ট্রান্সপোর্টের লোকজন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মুখ খুলছে না বন্দরের গুদামরক্ষক আব্দুল মতিন। তিনি কাস্টমস কর্মকর্তাদের পন্যচালানটির বৈধ কোন কগজপত্র দেখাতে পারেননি। বন্দরের শেডে পণ্য চালানটি কে বা কারা রেখেছে সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি। তবে বন্দরের ১৭ নং শেডে প্রান্ত নামের এক এনজিও কর্মী এবং আব্দুল্লাহ নামের একজন সিএন্ডএফ কর্মি ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির অবৈধ পণ্য চালান আটকের বিষয়টি মঙ্গলবার সকালে তিনি জেনেছেন। বিষয়টি কাস্টমস তদন্ত করা হবে। বন্দরের কারো দায়িত্ব অবহেলা এবং রাজস্ব ফাঁকির সাথে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের কমিশনার মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার সন্ধ্যার পর বেনাপোল বন্দরের একটি শেড থেকে কাগজপত্র বিহীন কাপড় লোড হবার সংবাদে কাস্টমসের নিবারক দল অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান শাড়ি ও থান কাপড়ের একটি চালান আটক করে। আটককৃত কাপড়ের চালানটি কাগজপত্র বিহীন আমদানি করা হয়েছিল। শুল্ক ফাঁকির সাথে জড়িত একটি চক্র এর সাথে জড়িত। তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ