গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার একটি গ্যারেজের নৈশ্যপ্রহরী দুদু মিয়াকে (৭২) হত্যা করে অটোরিকশা চুরির ঘটনার মূলহোতা নাজমুল হককে (৩৬) গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতার নাজমুল হক সাঘাটা উপজেলার রামনগর আদর্শ গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। আর হত্যার শিকার নৈশ্যপ্রহরী দুদু মিয়া পলাশবাড়ী উপজেলার সুইগ্রামের আমির হোসেনের ছেলে ও একই গ্রামের নুরে আলম সিদ্দিকী জিল্লুর গ্যারেজের নৈশ্যপ্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাতে র্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সালমান নুর আলম স্বাক্ষরিত একে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে ওইদিন সন্ধ্যার দিকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে আসামি নাজমুল হককে গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিদিনের ন্যায় গত ১৩ জুলাই রাতে নৈশ্যপ্রহরী দুদু মিয়া গ্যারেজে দায়িত্ব পালন করছিলেন। পরদিন সকাল ৭ টার দিকে পলাশবাড়ী-গাইবান্ধা আঞ্চলিক মহাসড়কের পার্শ্বে সুইগ্রাম দক্ষিণপাড়া এলাকায় ওই গ্যারেজের দরজার তালা ভাঙা এবং দুদু মিয়ার হাত-পা ও মুখ বাধা অবস্থায় মেঝেতে পরে থাকতে দেখতে পায় স্থানীয়রা। একইসঙ্গে গ্যারেজে থাকা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চুরির বিষয়টিও নজরে আসে স্থানীয়দের। খবর পেয়ে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নৈশ্যপ্রহরী দুদু মিয়াকে উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ওই গ্যারেজ মালিক নুরে আলম সিদ্দিকী জিল্লু বাদী হয়ে পলাশবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে র্যাব-১৩ গাইবান্ধা ছায়াতদন্ত শুরু করেন। এরই ধারাবাহীকতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা থেকে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় জড়িত পলাতক আসামি নাজমুল হককে গ্রেফতার করা হয়।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সালমান নূর আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রেফতার আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অটোরিকশা চুরিসহ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পলাশবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম