গোপালগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককেও গ্রেফতার হয়। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদার হত্যা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এদের গ্রেফতার করা হয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গোপালগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম এম মাহমুদ (৫৪),সদস্য তৌফিকুর রহমান (৪৮),রুবেল তালুকদার (৩৩) ও সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দ্বীন ইসলাম মিনা (৪৪)।
ওসি মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় কার্যালয়ে থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতিসহ ৪ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী স্ত্রী সহ বাবা-মায়ের কবর জিয়ারতের উদ্দেশে গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী গ্রামে যাচ্ছিলেন। তার গাড়ি বহরটি এ দিন বিকেলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদারকে পিটিয়ে হত্যা করে মহাসড়কের ঢালে ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় ১৭ সেপ্টেম্বর শওকত আলী দিদারের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও গোপালগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক মহিলা এমপি নাজমা আক্তারসহ ১১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ১ হাজার ৫শ’ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম