দুর্গাপূজার সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি যোগ হয়ে চার দিনের ছুটি চলছে। এই লম্বা ছুটিতে অবকাশ যাপনে দেশের নানা প্রান্ত থেকে কক্সবাজার ছুটে আসছেন পর্যটকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল থেকে পর্যটকরা শহরের সমুদ্রসৈকত ও আশপাশের পর্যটনকেন্দ্রে ভিড় করছেন।
আগামী রবিবার পর্যন্ত শহরের অধিকাংশ হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টের কক্ষ বুকিং হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দুপুরে লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী সমুদ্রসৈকতে গিয়ে দেখা গেছে, সমুদ্রসৈকতে ভরপুর পর্যটক। দীর্ঘদিন নিষ্প্রাণ থাকা সৈকতের তীর সেই পুরনো রূপে ফিরেছে। পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসা-বাণিজ্যে চাঙাভাব দেখা দিয়েছে।
এ ছাড়া শহরের কলাতলী মোড় থেকে ৮৪ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে ছুটছেন পর্যটকরা। এ সড়কে দরিয়ানগর পর্যটনপল্লি, হিমছড়ির জাতীয় উদ্যান, ছড়া ও ঝরনা, ইনানী ও পাটুয়ারটেক পাথুরে সৈকত, টেকনাফ, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, রামু বৌদ্ধপল্লি, চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক ও নিভৃতে নিসর্গে পর্যটক ভিড় করছেন।
পর্যটকরা সকাল থেকে গভীররাত পর্যন্ত সৈকততীরে ঘুরে কেনাকাটাসহ আনন্দ-উচ্ছ্বাসে সময় পার করছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই চারদিনে ৫০০ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা হবে।
শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত যেসব পর্যটক আসতে চান, তাদের অনলাইনে রুম বুকিং দিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন ফেডারেশন অব ট্যুরিজম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক ও হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম জানান, পর্যটকের চাপ সামাল দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।
চলতি মৌসুমে এবারের ছুটিতে সর্বোচ্চ পর্যটক আসছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা এবং সৈকতের প্রতিমা বিসর্জন উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক