বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন নাশকতা ও হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত তিন ব্যক্তিকে অবৈধভাবে কুষ্টিয়া সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে পালানোর সময় গ্রেফতার করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
আটকরা হলেন- নাটোর জেলার চক বৈদ্যনাথ গ্রামের মো. আমিনুল ইসলামের ছেলে মো. রাশেদুল ইসলাম (৩৭), একই জেলার উত্তর বড়গাছা জোলারপাড়া গ্রামের মো. আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো. রেজাউল ইসলাম (৩০) এবং রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলা মীরগঞ্জ হরিরামপুর গ্রামের মো. আনসার সরকারের ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম ডাবলু (৪২)।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাত পৌনে ১২টার দিকে ৪৭ বিজিবি কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান জানান, কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবির ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ উদয়নগর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ৮৪/৫-এস থেকে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আতারপাড়া গ্রামের মো. আকবর আলীর (৫৫) বাড়িতে অবস্থান নেয় তারা তিনজন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে আটক রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৪টি হত্যা মামলা, ৫টি নাশকতার মামলা এবং ১১টি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মামলার রয়েছে। এ ছাড়াও রাশেদুলের সহযোগী রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে ৪টি মাদক মামলা, ৪টি মোটরসাইকেল চুরির মামলা এবং ২টি চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। অপরজন আমিনুল ইসলাম ডাবলুর বিরুদ্ধে ১টি মাদক মামলা রয়েছে।
কুষ্টিয়া বিজিবির এই কর্মকর্তা উল্লেখ্য করেন, আটকদের মধ্যে দুজনের বিরুদ্ধে ৫ আগস্ট এবং তার পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন নাশকতা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগেও মামলা রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী দৌলতপুর থানায় মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্তদের অপরাধের প্রোফাইল এবং সংবেদনশীলতা বিবেচনায় নাটোর জেলা থেকে একটি বিশেষ পুলিশ টহল দল এসে প্রিজনভ্যানে করে দৌলতপুর থানা থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্থানান্তর কার্যক্রম একই সঙ্গে চলমান রয়েছে।