টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার গাঙ্গাপাড়া গ্রামের পুলিশ কর্মকর্তা খন্দকার রাসেলের একমাত্র সন্তান রাহেনুল ইসলাম আরাফকে (৬) অপহরণের পর ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে কালিয়াকৈর উপজেলার হাইটেক পার্কের নিকট থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় শুক্রবার গোপালপুর থানায় অপহরণ মামলা হলে পুলিশ উপজেলার নবধুলটিয়া গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে নুরনবী ও ব্রাহ্মনবাড়ীয়া সদর উপজেলার শরীফপুর গ্রামের আব্দুর কাদিরের ছেলে মোকাব্বির হোসেনকে গ্রেফতার করে। ওসি গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার বাদী ও আরাফের দাদা নাসির উদ্দীন বলেন, তার ছেলে কিশোরগঞ্জে চাকরি করেন। পুত্রবধূ ও একমাত্র নাতি তার সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে থাকে। ঘটনার দিন চিপসের লোভ দেখিয়ে আরাফকে কৌশলে অপহরণ করে নুরনবী। পরে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণ না পেয়ে আরাফকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়।
গোপালপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, অপহরণের ঘটনায় গত শুক্রবার থানায় মামলা হয়েছে। ওই দিন আটক দুই আসামিকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আবেদন করা হলে আদালত তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দীন বলেন, রিমান্ডে আসামীরা শনিবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর রেলস্টেশনের কাছে শিশুকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে আসামিদের নিয়ে কালিয়াকৈরে এক ডোবা থেকে শিশুর গলিত লাশ উদ্ধার করে। পরিবারের লোকজন লাশ শনাক্ত না করতে পারায় ডিএনএ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয়। লাশটি গাজীপুরের তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষ করে শিশুর বাড়িতে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে।
বিডি প্রতিদিন/মুসা