ভোলার চরফ্যাসনে কনের বাড়িতে গেট ধরার টাকা কম দেওয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বর মনির হোসেনসহ উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর ৩টার দিকে ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের ভুইয়ার হাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর পারিবারিকভাবে দক্ষিণ আইচা থানার জাহানপুর ইউনিয়নের নাসির উদ্দিনের ছেলে মনির হোসেনের সঙ্গে চর মানিকা ইউনিয়ন ভূঁইয়ার হাট গ্রামের নুর আলমের মেয়ে লিমা বেগমের বিয়ে হয়। রবিবার দুপুরে ২৪ জন বরযাত্রীসহ কনে বাড়িতে যান বর মনির হোসেন ও তার স্বজনরা। বরযাত্রী কনের বাড়ির সামনে গেলে গেটে বরযাত্রীকে আটকে দেন কনেপক্ষের লোকজন। এ সময় ১০ হাজার টাকা দাবি করেন কনেপক্ষ। তাদের দাবি করা ওই টাকা দিতে অস্বীকার করলে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন দুইপক্ষ। একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বর মনির হোসেন জানান, কনেপক্ষ ১০ হাজার টাকা দাবি করে। ৩ হাজার টাকা দেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা হামলা চালায়। বাধা দিলে পিটিয়ে তার হাত ভেঙে দেয়। তাদের পরিবারের ২০ জন আহত হয়েছে।
কনের বাবা নুরে আলমের দাবি, বিয়েবাড়িতে গেটে বরকে নিয়ে সবাই আনন্দ করছিলেন। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন বরপক্ষের লোকজন। মুহূর্তেই দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে তার পরিবারের ১০ সদস্য আহত হন।
দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এরশাদুল হক ভূঁইয়া বলেন, ঘটনাটি আসলেই দুঃখজনক। আমি লোকমুখে শুনেছি, তবে থানায় এসে কনে বা বরপক্ষের কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। তারপরও আমি খোঁজ-খবর নিচ্ছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল