দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে পঞ্চম শ্রেণির এক আবাসিক স্কুলছাত্রকে পূজার ছুটিতে পাঁচদিন আটকে রেখে টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। চিরিরবন্দর উপজেলার সুফফা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলে এ ঘটনা ঘটে।
রবিবার বিকালে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ জেলার সদর উপজেলার শৈলগাছি মকরামপুর পূর্বপাড়ার রাশেদ হোসেনের ছেলে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সাদিক হোসেন ঈসা (১২) সুফফা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলে আবাসিক ছাত্র হিসেবে লেখাপড়া করত। গত ৯ অক্টোবর শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে স্কুল ছুটির দিনে ওই স্কুলছাত্রের বাবা স্কুলে তার ছেলেকে নিতে আসেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতন ১৬ হাজার টাকা পরিশোধের চাপ দেয়। ওই অভিভাবক স্কুল ছুটির পরে ছেলেকে দিতে এসে টাকা দিতে চাইলে, স্কুল কর্তৃপক্ষ টাকা ছাড়া ছাত্রকে ছাড়বে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। পরে তিনি নিরুপায় হয়ে টাকা সংগ্রহ করতে নওগাঁ চলে যান।
প্রতিবেশীরা জানান, পাঁচদিন ওই ছাত্রকে একা ৬তলা ভবনের নিচতলার বড় একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। ভবনের প্রতিবেশীরা জানতে পেরে সাংবাদিকদের জানালে ঘটনাটি জানাজানি হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জানার পর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত খান ঘটনাস্থলে এসে রবিবার বিকালে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
ওই ছাত্র সাংবাদিকদের জানায়, স্কুল ছুটির দিনে তার বাবা তাকে নিতে এসেছিল। স্যাররা টাকার জন্য ছেড়ে দেয়নি। বাবা টাকা আনতে গেছেন।
সুফফা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের পরিচালক এন্তাজ মুন্সী সাংবাদিকদের জানান, ওই স্কুল ছাত্রের বাবা তার ছেলেকে নিতে আসেনি। বাধ্য হয়েই তারা ছাত্রটিকে হেফাজতে রেখেছে।
চিরিরবন্দর থানার এসআই ফিরোজ জানান, ছাত্রটিকে রবিবার বিকালে উদ্ধার করে তার বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় রাতে তার বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই