কুড়িগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ ও ভাঙা সড়কের জন্য যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাচ্ছে লাখো মানুষ। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পঁচগাছি এলাকার চার ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এ সড়কটি।
সদরের গারুহারা এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ ও সড়কটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পাঁচগাছী, যাত্রাপুর, বেগমগঞ্জ ও সাহেবের আলগাসহ ৪ ইউনিয়নের মানুষ এবং বিভিন্ন যানবাহন। এছাড়াও প্রতিদিন পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও কষ্টে এ সড়ক ও ব্রিজ দিয়ে চলাচল করে।
এ অবস্থায় দ্রুত নতুন ব্রিজ নির্মাণসহ সড়কটি মেরামত করে দুর্ভোগ কমানোর দাবি স্থানীয় মানুষজনসহ জনপ্রতিনিধিদের। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতসহ ভাঙা ব্রিজের স্থলে নতুন ব্রিজ নিমার্ণের কথা জানায় সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সদর উপজেলার পাঁচগাছীতে এমনিতেই সড়ক ভেঙে গেছে তার ওপর ব্রিজের দুই দিকের রেলিং ভেঙে গেছে। আবার কোথাও কোথাও ভেঙে গেছে ব্রিজের পাটাতনের ঢালাই। এ অবস্থায় এধরনের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলছে অনেক যানবাহন এবং প্রতিদিন পারাপার হচ্ছেন কয়েক গ্রামের মানুষ। সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের জালালের মোড় থেকে ওয়াপদা বাজার সড়কের গারুহারা এলাকার চিত্র এটি।
গারুহারা এলাকায় ডোবার উপর দীর্ঘ বিশ বছর আগে নির্মিত হয় একশ' ফুট দৈর্ঘ্যের এ ব্রিজটি। এ ব্রিজটি প্রায় দশ বছর থেকে এ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন এলাকাবাসী।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের জালালের মোড় এলাকার আবু মিয়া জানান, 'খুব কষ্ট নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন পার হই। প্রতিনিয়ত ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। যেকোনো সময় প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই দ্রুত এটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।'
পাঁচগাছী ইউনিয়নের গারুহারা এলাকার রিকশাচালক ময়েজ মিয়া জানান, 'ভাঙা রাস্তা ও ব্রিজে রিকশা চালা খুবই কঠিন। তবুও মানুষের চাহিদায় এ পথ দিয়ে রিকশা চালাতে হচ্ছে। এছাড়াও এ রাস্তায় গারুহারা এলাকার ব্রিজটি খুবই খারাপ অবস্থা। সেটিও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ আমরা দ্রুত এ রাস্তা মেরামত ও ব্রিজ নির্মাণ চাই।'
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া বলেন, জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র গারুহারার সড়কটি ব্যবহার করে সদরের যাত্রাপুর, পাঁচগাছী, উলিপুরের বেগমগঞ্জ ও সাহেবের আলগা ইউনিয়নের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল ও কৃষি পণ্য আনা নেওয়া করেন। সড়কটি যান চলাচলের অনুপযোগী হওয়ার চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা প্রকৌশলী রিশাদ জামান জানান, 'সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে নতুন ব্রিজসহ সড়কটি পাকাকরণের সিদ্ধান্ত রয়েছে। টেন্ডারও হয়েছে, বর্ষা মৌসুম শেষ হলেই এর কাজ আমরা শুরু করব বলে আশা করছি।'
বিডি প্রতিদিন/মুসা