সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মাহতাবপুর মৎস্য আড়তের জটিলতা নিরসনে সালিশের পর, সালিশ ব্যক্তিদের উপর মামলা দায়ের এবং অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা ও পৌর বিএনপি। সোমবার দুপুরে পৌরশহরের একটি রেস্টুরেন্টে তারা এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. লিলু মিয়া। তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন থেকে উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের মাহতাবপুর মৎস্য আড়ত ও মৎস্য সমিতির কমিটি নিয়ে অর্ন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা বশির উদ্দিন পক্ষ এবং সাবেক ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার বাজারে সংঘর্ষ, বিশৃঙ্খলাও হয়েছে। পাশাপাশি আড়তের সম্পত্তি ও সমিতির কমিটি নিয়ে উভয়পক্ষে প্রায় দুই ডজন মামলাও রয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর দুইপক্ষের দ্বন্দ্ব ও সমিতির কমিটি নিয়ে জটিলতা নিরসনে স্থানীয় বিএনপি এবং উভয় পক্ষের অনুরোধে সালিশের ব্যবস্থা করা হয়। সালিশে উপজেলা বিএনপির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) গৌছ আলী ও সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়াসহ বৃহত্তর সিলেটের গণ্যমান্য সালিশ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এতে উভয় পক্ষের ৫ লাখ টাকা করে আমানতও জমা দেন। চার দফায় সালিশ বৈঠকে হেলাল উদ্দিন পক্ষের টাকা বাজেয়াপ্ত করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে, হেলাল উদ্দিন পক্ষ ওই বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের মামলা করেছেন। এছাড়াও, তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে আসছেন তিনি।
এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অপপ্রচারের প্রতিবাদ নিন্দা জানিয়ে লিলু মিয়া বলেন, ভুল স্বীকার করে বিশ্বনাথবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে মামলাবাজ হেলাল উদ্দিনকে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোনায়েম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মুমিন মামুন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক তালুকদার গিয়াস উদ্দিন, ক্রিড়া সম্পাদক ও দশঘর ইউপি চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন খান, অলংকারী ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান লিটন, উপজেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, জেলা বিএনপি নেতা খসরুজ্জামান খসরু, লামাকাজী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হক, বিএনপি নেতা আশিক মিয়া জীবন, আব্দুস সাত্তার, আশিকুর রহমান রানা, আব্দুল হান্নান বাবুল, দুলাল আহমদ প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এএ