শরৎ বিদায়ে হেমন্তের দুয়ারে শিশির ভেজা ভোর, ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো সকাল আর হিম শীতল বাতাস জানান দিচ্ছে আগাম শীতের পদধ্বনি। বলা হচ্ছে নীলফামারীর প্রকৃতিতে আগেভাগে নেমে পড়া শীতের কথা। বিগত কয়েক দিন ধরে ভোরের আকাশে হালকা কুয়াশার পাশাপাশি বেশ কিছুদিন থেকে হঠাৎ ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পরে মাঠ ঘাট-পথ ও প্রান্তর। ভোরের আকাশে রক্তরাঙা আলো ফুটতেই দুর্বা ঘাস, মাকড়সার জালে আটকে থাকা শিশিরবিন্দুগুলোও যেন মুক্তার দানার মতো আলো ছড়াচ্ছে। প্রকৃতির কারিগর মাকড়সা যে জাল বুনেছে তাতে শিশিরবিন্দু জমে কোন সুন্দরীর খোঁপায় এক অসাধারণ অলংকার গড়ে তুলেছে। পাশাপাশি সবুজ ধানের পাতাগুলো ভিজে উঠছে স্নিগ্ধ নীহারে। আগাম শীতের মায়াবী প্রকৃতির এমন অবয়ব এরই মধ্যে যেন বিমুগ্ধ করতে শুরু করেছে। অপরদিকে সকালের ঘন কুয়াশার ধুব্রজাল আর উত্তর থেকে ধেয়ে আসা শিরশির বাতাস সমস্ত শরীর জুড়ে শিহরণ তুলছে। সকালের নরম রোদের আবেশ। বিকেল ৫টা গড়ালেই পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়ছে সূর্য। গোধূলি লগ্নের রাঙা সূর্য সবাইকে রোমাঞ্চিত করে জলদিই নামিয়ে দিচ্ছে সন্ধ্যা।শেষ রাতের হিম শীতল বাতাস কাঁটা দিচ্ছে শরীরে।এসময় গায়ে চাপাতে হচ্ছে হালকা কাঁথা-কম্বল। সব মিলে শরৎ বিদায়ে হেমন্তের হাত ধরেই আসছে শীত।
ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালযের সহকারী শিক্ষক জাবেদুল ইসলাম সানবীম বলেন, বাংলা বর্ষপঞ্জিতে কার্তিকের পর অগ্রহায়ণ পেরিয়ে পৌষ-মাঘ শীতকাল ধরা হলেও এবার আশ্বিন মাস শেষে কার্তিকের দুয়ারে শীত শীত অনুভূত হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, ভোরের ঘন কুয়াশা আর শিশির সিক্ত সকাল দেখে মনে হয় এ জনপদে এবার আগে ভাগে শীতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পারদও কমছে।এতে সকাল ও মধ্যে রাতে একটু ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব অনুভূত হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ