গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ফকিরহাট মহিলা কলেজ থেকে টানা দুই বছর ধরে এইচএসসি পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থীও পাশ করতে পারেনি। যদিও গত বছর মাত্র একজন এবং এ বছর দুই শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফকিরহাট মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবার রশিদ। এর আগে মঙ্গলবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়।
জানা যায়, বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা নিয়ে ২০০০ সালে যাত্রা শুরু করে ফকিরহাট মহিলা কলেজ। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০১৬ সালে পুণরায় চালু করা হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় কলেজটি থেকে মানবিক বিভাগের দুইজন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে একজন নিয়মিত ও একজন অনিয়মিত শিক্ষার্থী ছিলেন। কিন্তু পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় তাদের কেউই পাস করেনি।
এর আগে ২০২৩ সালে কলেজটি থেকে মাত্র একজন পরীক্ষার্থী মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন। সেবারও ওই শিক্ষার্থী ফেল করেন।
এ ব্যাপারে ফকিরহাট মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবার রশিদ বলেন, কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর বিভিন্ন সমস্যার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সমস্যা কাটিয়ে ২০১৬ সালে পুনরায় চালু করা হয়। এরপর ফলাফল ভালোই ছিল। শতভাগই পাশ করতো। বর্তমানে টানা ফলাফল বিপর্যয়ের মূল কারণ আগে ১০ থেকে ১৫ জন শিক্ষক ছিল, এখন অনেকেই আসেন না। ফলে শিক্ষার্থী ভর্তিসহ সার্বিক কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। যার ফলশ্রুতিতে এই ফলাফল বিপর্যয়। এ বিষয়ে কয়েক দফায় সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার মেলেনি। এভাবে চলতে থাকলে একসময় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাবে।
আগামী ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরিক্ষায় কলেজটি থেকে একজন পরীক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/মুসা