বন্যা-বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন মহাসড়ক। সেগুলো হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক, কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক ও কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক।
মহাসড়কের কোথাও সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত, কোথাও উঠে গেছে পিচ-খোয়া। ফলে যানবাহনের যাত্রী, চালক, দুইপাশের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনজীবনে নেমে এসেছে ভোগান্তি।
স্থানীয় সূত্রমতে, মহাসড়কগুলোর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লা অংশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে পড়েছে চৌদ্দগ্রাম থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত ১০৫ কিলোমিটার। এই মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের নোয়াপাড়াসহ কয়েকটি স্থানে দেবে গেছে। আদর্শ সদরের নিশ্চিন্তপুর থেকে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পর্যন্ত দুই লেনে উঠে গেছে পিচ খোয়া।
এতে যানবাহন ধীরগতিতে চলে। সৃষ্টি হয় যানজট। ধুলাবালি উড়ে জনজীবনে ভোগান্তির সৃষ্টি করে। এ ছাড়া চান্দিনা সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুই লেনে ভাঙা রয়েছে। কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে পড়েছে ৪০ কিলোমিটার। বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে দেবিদ্বার সদর, কংশনগর, পান্নারপোল স্টেশন ও জাফরগঞ্জ অংশে।
এদিকে, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে উল্লেখযোগ্য ভাঙা নেই। কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে রয়েছে ৩০ কিলোমেটার। লালমাই দুতিয়ার দিঘিরপাড়, মুদাফফরগঞ্জ বাজার, নলুয়া চাঁদপুরে কিছু ভাঙা রয়েছে। তবে এই মহাসড়কের চাঁদপুর অংশে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। গাড়ি চলে ধীরগতিতে।
কুমিল্লা মোটর অ্যাসোসিয়েশনের (বাস মালিক সমিতি) সভাপতি জামিল আহমেদ খন্দকার বলেন, কুমিল্লার বিভিন্ন মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে চালক ও যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সড়কগুলো তাড়াতাড়ি সংস্কার করা প্রয়োজন।
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের একটি মিনিবাসের চালক আবুল হোসেন বলেন, সরু সড়কে যানবাহনের তীব্র চাপ। আবার সড়কে গর্ত। গর্তগুলোর কারণে চালকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
মুদাফফরগঞ্জ এলাকার যাত্রী আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে ভাঙা তুলনামূলক কম। তবে চাঁদপুর অংশে গাড়িতে যাতায়াত করা অনেক কঠিন।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, বন্যা ও বৃষ্টিতে কুমিল্লায় বিভিন্ন সড়কে কিছু ক্ষতি হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে আমরা সংস্কারে যাব।
বিডি প্রতিদিন/এমআই