নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ‘কৃষক গ্রুপ’ গঠন নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকের কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত আটজন আহত হয়েছে। আহতদের তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) মাঝরাতে উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন- কৃষ্ণপুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে আলী হাসান (১৯), ফাহিম মিয়া (১৫), সোহাগ মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম (১৬), মহসিন মিয়ার ছেলে হাসিম মিয়া (১৫), কনা মিয়ার ছেলে রুহুল আমিন (৩৫), আক্কল আলীর ছেলে শুক্কুর আলী (৪২), আব্দুল হাসিমের ছেলে রুবেল মিয়া (৩২) ও মতিউর রহমানের স্ত্রী নাপিয়া বেগম (৩৫)।
আহতদের মাঝে শুক্কুর আলী, রুহুল আমিন ও নাপিয়া বেগমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা খালিয়াজুরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের আওতায় গ্রামে কৃষক গ্রুপ গঠন নিয়ে গত ১৫ অক্টোবর বিকেলে কৃষ্ণপুর বাজারে আলোচনায় বসেছিলেন স্থানীয়রা। এ সময় কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বিএনপি কর্মী কায়েস মিয়া এবং উপজেলা যুবদল নেতা শুক্কুর আলী ও তাদের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এক পর্যায়ে ওই দু’জনের দুটি পক্ষ কৃষক গ্রুপের পদ-পদবি নিয়ে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। তখন আলোচনাটি পণ্ড হয়ে যায়। পরবর্তীতে এরই জেরে রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১২ টার দিকে দুইপক্ষ লাঠি-সোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে খালিয়াজুরী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাহবুবুর রহমান কেস্ট জানান, তিনি এ ঘটনা শুনেছেন। দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দদের নিয়ে স্থানীয়ভাবে বসে ঘটনাটি মীমাংসা করার চেষ্টাও করবে বলে জানান তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খালিয়াজুরী থানার ওসি মো. মকবুল হোসেন জানান, 'আহতদেরকে হাসপাতালে গিয়ে দেখেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
বিডি প্রতিদিন/মুসা