হাঁটাচলার ক্ষমতা থাকুক আর না থাকুক, দৃঢ় মনোবল আর অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে যে কেউ নিজের ভাগ্যকে বদলে ফেলতে পারেন। আর এই উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জের সুজালপুর ইউপির চাকাই গ্রামের প্রতিবন্ধী আব্দুল আলম।
কারো মুখাপেক্ষী না হয়ে ৩৫ বছর ধরে চারকলের ব্যবসা করছেন তিনি। তার আয়ের এটাই প্রধান উৎস। তবে তিনি এখন ‘চারকল আলম’ নামে পরিচিত পেয়েছেন। যদিও তিনি ২০১৯ সাল থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধী সরকারি ভাতা পাচ্ছেন।
৫৪ বছর বয়সী আব্দুল আলম জীবনের প্রতিকূলতাকে জয় করে স্বাবলম্বী মানুষ। প্রতিদিন তিনি একটি ভ্যানে করে চায়ের দোকান, হোটেল ও বাজারগুলোতে চারকল সরবরাহ করেন। গড়ে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ মণ চারকল বিক্রি করেন। এতে তার দৈনিক লাভ প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। বর্তমানে তার মাসিক আয় ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা। এই আয়ে তিনি স্ত্রী ও চার সন্তানের সংসার পরিচালনা করছেন। নিজ বাড়ির ১০ শতক জমি কিনে তাতে পাকা বাড়িও নির্মাণ করেছেন। আব্দুল আলম এখন বীরগঞ্জ পৌর শহরের উল্লাস সিনেমা হল সংলগ্ন একটি চারকল দোকান করেছেন। সেখান থেকে তিনি চারকল বিক্রি করেন।
আব্দুল আলম জানান, একসময় শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় সমাজের অনেকের চোখে অবজ্ঞার পাত্র ছিলেন তিনি। কিন্তু কখনো হাল ছাড়েননি। ৩৫ বছর আগে সরকারের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা অনুদান পেয়ে তিনি চারকল ব্যবসা শুরু করেন। পরে কঠোর পরিশ্রম আর ধৈর্য্যের মাধ্যমে তিনি ব্যবসায় সফলতা অর্জন করেন এবং স্বাবলম্বী।
তিনি বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কোনো বাধা নয়। আদম্য ইচ্ছাশক্তি আর দৃঢ় মনোবল থাকলে দারিদ্র্যকে জয় করা সম্ভব।
বিডি প্রতিদিন/এমআই