টুটুল ছিল একটা ছোট্ট ছেলে। সে খুবই দুষ্টু, কিন্তু পানির ভীষণ ভয়। পুকুরের পাশ দিয়ে হাঁটলেও তার হাত-পা কাঁপতে থাকে। তার বন্ধুরা যখন পুকুরে ঝাঁপিয়ে পড়ে আনন্দ করে সাঁতার কাটে তখন টুটুল দূর থেকে দেখে।
এক দিন টুটুলের দাদু তাকে ডেকে বললেন, “টুটুল, তুমি যদি সাঁতার না শিখ তাহলে তো পুকুরের আনন্দগুলো মিস করেই যাবে!”
টুটুল একটু ভয় পেয়ে বলল, “কিন্তু দাদু, আমি যদি পানিতে ডুবে যাই?”
দাদু হেসে বললেন, “শোনো, সাঁতার শেখা কোনো জাদু নয়। ধৈর্য ধরে ছোট ছোট কৌশল শিখলেই তুমি পানির বন্ধু হয়ে যাবে।”
পরের দিন দাদু টুটুলকে নিয়ে গেলেন পুকুরের একদম অগভীর দিকে। প্রথমে দাদু তাকে বোঝালেন কীভাবে পানিতে শরীরকে ভাসিয়ে রাখতে হয়। টুটুলকে পুকুরের পাড়ে বসিয়ে দাদু বললেন, “দেখ, প্রথমে শ্বাস নিয়ে বুক ফুলিয়ে রাখতে হবে। এতে শরীর পানির ওপর ভেসে থাকবে।”
টুটুল সাহস করে দাদুর কথা মতো শ্বাস নিল আর দেখল, সত্যিই সে পানিতে ভাসছে! এরপর দাদু তাকে শেখালেন কীভাবে হাত-পা চালিয়ে ভারসাম্য রাখতে হয়। “একটা একটা করে ধীরে ধীরে কর। পা দিয়ে ঠেলে দাও আর হাত দিয়ে টান দাও। ধীরে ধীরে এগিয়ে যাবে।”
টুটুল কয়েক দিন পরেই নিজের ভয় কাটিয়ে পানিতে সাঁতার কাটতে শিখে গেল। সে খুবই খুশি হয়ে দাদুকে বলল, “দাদু, তোমার জন্যই আমি আজ পানির বন্ধু হতে পেরেছি!”
এরপর থেকে টুটুল পুকুরে সাঁতার কাটতে আর ভয় পায় না। সে তার বন্ধুদের সঙ্গে মিলে আনন্দ করে, আর সবাইকে বলে, “ধৈর্য আর কৌশল শিখলে কোনো ভয়ই ভয় থাকে না।”