মায়রা ফুটবল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে। মায়রন পুতুল খেলতে ভালোবাসে। মায়রন ফুটবল নিয়ে ছোটাছুটি করে। মায়রা খেলনা হাঁড়ি নিয়ে রান্না করতে বসে। মায়রন হাল্কা হতে চায়। শক্তিশালী মানুষ।
মায়রা বারবি ডল হতে চায়। সোনালি চুলের রাজকন্যা। ওরা দুজন ভাইবোন। একজন ছেলে একজন মেয়ে। ওরা বড় হচ্ছে নানা-নানি, দাদা-দাদির আদর-স্নেহে। আনন্দের মধ্যে ওদের দিন কেটে যায়।
নানাভাই সেদিন বিকেলবেলা ওদের একটা গল্প শোনাচ্ছিলেন।
বন থেকে এক বাঘ এলো শহরে। বাঘের মাথায় মস্তবড় দুটো শিং।
মায়রন হা হা করে হেসে উঠে বলল, বাঘের মাথায় শিং হয় না! নানা জানে না। নানা জানে না!
নানাভাই বললেন, ঠিক আছে। আমি ভুল বলেছি। বাঘের ছিল একটা লেজ। ঠিক খরগোশের মতো।
মায়রা গম্ভীরভাবে বলে, বাঘের লেজ অনেক লম্বা। আবার তুমি ভুল বললে।
ঠিক আছে বাঘের ছিল সাদা কালো ডোরাকাঁটা দাগ।
কী যে বলো না নানাভাই তুমি?
বাঘের গায়ের থাকে কালো হলুদ ডোরাকাটা দাগ।
মায়রন বলে, নানাভাই-তুমি খালি ভুল বলছ।
তখন মায়রা কাপড়ের তৈরি একটা খেলনা নিয়ে এলো। এই দেখো বাঘ কেমন।
নানাভাই বললেন, আমিও জানি। তবে গল্প বলতে গিয়ে সব কেমন যেন এলোমেলো হয়ে যায়।
অমনি একটা খেলনা বাঘ হালুম হুলুম করে ডাক দিলো।
নানাভাই বললেন, গল্পটা আরেক দিন বলব।
মায়রা-মায়রন খেলনা বাঘের সঙ্গে খেলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে।