বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের পদত্যাগের পর ডেপুটি গভর্নরদের এখন থেকে গভর্নরের নিত্যদিনের কার্যকলাপ সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রবিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে পাঠানো এক নির্দেশনায় এসব কথা বলা হয়।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপ-সচিব আফসানা বিলকিস স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গভর্নর এতদিন যেসব দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন ডেপুটি গভর্নররা তার অনুপস্থিতে এসব দায়িত্ব পালন করবেন। এদের মধ্যে বর্তমান ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার গভর্নরের দৈনিক ডাক বিভাগের দায়িত্ব পালন করবেন এবং প্রতিদিনকার চিঠিপত্র তার মাধ্যমেই অন্যান্য বিভাগে পাঠানো হবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়।
এর আগে শুক্রবার (০৯ আগস্ট) ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান আব্দুর রউফ তালুকদার।
জানা যায়, গেল সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে যাননি গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। গভর্নরের পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, বিষয়টি তার জানা নেই।
নিয়ম অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর বা প্রধান উপদেষ্টার সম্মতিক্রমে গভর্নর নিয়োগ দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। সেই হিসেবে গভর্নরকে পদত্যাগও করতে হয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। আব্দুর রউফ তালুকদার তাই আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন।
এদিকে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বুধবার (০৭ আগস্ট) একদল কর্মকর্তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, চার ডেপুটি গভর্নর, উপদেষ্টা ও আর্থিক গোয়েন্দা দফতরের প্রধানের পদত্যাগ দাবি করে মিছিল করেন। তখন একজন ডেপুটি গভর্নরকে সাদা কাগজে সই করতে বাধ্য করেন এবং আরও চারজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে ‘পদত্যাগে রাজি’ করান। যেসব শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে সাদা কাগজে সইয়ের মাধ্যমে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে বা যাদের পদত্যাগে রাজি করানো হয়েছে বলে বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা দাবি করেন, তারা সবাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত