সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা
খোলা কলাম

রাজনীতির দারিদ্র্য দূর হবে কীভাবে?

বিভুরঞ্জন সরকার

রাজনীতির দারিদ্র্য দূর হবে কীভাবে?

আজকাল যে কোনো রাজনৈতিক আলোচনায় কয়েকটি প্রশ্ন ঘুরেফিরেই সামনে আসে। সেগুলো হলো : দেশে কী ঠিক সময় নির্বাচন হবে? নির্বাচন হলে কী সব দল তাতে অংশ নেবে? সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে তার ফলাফল কী হবে? আওয়ামী লীগ যদি আবার নির্বাচিত না হয়, তাহলে অর্থাৎ বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে ১৮-দলীয় জোট ক্ষমতায় ফিরলে পরিস্থিতি কেমন হবে? প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের দুই নেত্রীর বক্তব্য থেকে কেউ এসব উত্তর খোঁজার চেষ্টা করলে তাকে বিভ্রান্ত হতে হবে। বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া রাজশাহী ও রংপুরের জনসভায় যে বক্তৃতা করেছেন তাতে মনে হয়, দেশে নির্বাচন হবে না। তিনি বলেছেন, 'ভোট চাইতে নয়, ভোট রুখতে এসেছি'। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'যে কোনো মূল্যে যথাসময়ে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি নেত্রীর সাধ্য নেই এই নির্বাচন বানচাল করার।'

নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে প্রধান দুটি দলের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। অথচ মানুষের মন থেকে উদ্বেগ দূর করার দায়িত্ব এই দুই দলের নেতাদেরই। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের চিন্তার বলয় অত্যন্ত সংকীর্ণ, ক্ষীণদৃষ্টি। দূরের কিছু দেখতে পান না বা চান না। প্রচলিত ধারার বাইরে কিছু ভাবতে পারেন না, নিজেদের চারপাশ ছাড়া বেশিদূর তারা তাকাতে পারেন না। এমন ক্ষীণদৃষ্টি নেতৃত্ব বর্তমান বিশ্বে খুব বেশি আছে বলে মনে হয় না। সংবাদপত্রে আমরা যারা লেখালেখি করি তারাও সব সময় একটি সতর্ক অবস্থান নিয়েই লেখা তৈরি করি। একূল ওকূল দুই কূল রক্ষার কৌশল নিয়ে কলম ধরায় আমাদের লেখা পাঠকদের তেমন উজ্জীবিত করে বলে মনে হয় না। পাঠকদের মন যেসব প্রশ্ন আন্দোলিত হয়, যেসব প্রশ্নের জবাব খুঁজে তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চান, সেসব প্রশ্ন নিয়ে কলাম লেখকরা সরাসরি কিছু না লিখে যা লেখেন তা পড়ে পাঠক কোনো পরিষ্কার ধারণা পাওয়ার পরিবর্তে অনেক সময়ই বিভ্রান্তিতে পড়েন। আমাদের অনেকের লেখায়ই যুক্তি থাকে কম, চিন্তার কোনো খোরাক থাকে না। আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীসহ রাজনৈতিক নেতৃত্বের দৃষ্টিভঙ্গির যদি পরিবর্তন না হয়, রাজনীতিকে যদি স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার ছাড়া অন্য কিছু ভাবা না হয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশের ফলে পৃথিবীতে পরিবর্তনের যে ধারা সূচিত হয়েছে আমাদের রাজনীতিকে যদি তার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে না পারা যায়, তাহলে আমরা বর্তমান রাজনৈতিক বৃত্ত ভেঙে বেরিয়ে আসতে পারব না- এই সত্যটা বুঝতে হবে সবাইকে। দেশের রাজনীতি এখন যে অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে এর জন্য এককভাবে কাউকে দায়ী করে কোনো লাভ নেই। কারও দায় হয়তো বেশি, কারও কম। কিন্তু দায় এড়ানোর উপায় নেই কারও। কার দায় বেশি, কার দায় কম- সেটা নিয়ে জমজমাট বিতর্ক করা যাবে, সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যাবে না সহজে। সে জন্য নতুন পথের সন্ধানের জন্য প্রথমেই আমাদের স্বীকার করে নিতে হবে, আমাদের সমবেত কর্মফলের পরিণতিই আমাদের আজকের জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে। তাই এ জায়গা থেকে সরতে হলে সমবেতভাবেই চেষ্টা করতে হবে।

রাজনীতিতে মত-পথের পার্থক্য থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সব মানুষকে একভাবে ভাবতে বাধ্য করা যায় না। মতের পার্থক্য থাকবে। পথেরও পার্থক্য থাকবে। এটা দোষের কিছু নয়। নিজের মত ও পথের সঙ্গে যার মত ও পথ মিলবে না- তাকে শত্রু ভাবাটাই হলো দোষের। আমাদের দেশের রাজনীতি মোটা দাগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি- এই দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। দেশের মানুষও মোটামুটি এই দুই ধারায় চলতেই অভ্যস্ত। যারা সরাসরি আওয়ামী লীগ বা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন, তারাও ভাবনা-চিন্তায় এই দুই পক্ষের বাইরে একটি আলাদা পরিচয়বলয় গড়ে তুলতে পারছেন না। দ্বিদলীয় রাজনীতি কেবল আমাদের দেশেই চালু আছে তা নয়। অনেক দেশেই প্রধানত দুটি দলই রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। তবে আমাদের দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের পারস্পরিক সম্পর্কটা যেমন, অন্য দেশে তেমন নয়। কেউ কারও ভালোটা অনুসরণ করে না, খারাপটাই অনুসরণ করে, অাঁকড়ে ধরে। আমাদের দেশে যারা আওয়ামী লীগ করেন, তারা বিএনপিকে সহ্য করতে পারেন না। শত্রু মনে করেন। আবার যারা বিএনপি করেন তারাও আওয়ামী লীগকে কেবল বিএনপির শত্রু নয়, দেশের শত্রু বলেই মনে করেন। আওয়ামী লীগকে কীভাবে দেশ থেকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করা যায় সেটাই বিএনপির চিন্তার বিষয়। বিএনপি সম্পর্কে আওয়ামী লীগের ভাবনাটাও হয়তো প্রায় একই রকম। আমাদের রাজনৈতিক সংকটের মূলে রয়েছে পরস্পরকে শত্রু ভাবার এই মানসিকতা। আওয়ামী লীগকে বিএনপির অস্তিত্ব স্বীকার করে নিয়েই রাজনৈতিক আদর্শগত প্রশ্নে তাদের বিরোধিতা করতে হবে। আবার বিএনপিকেও বুঝতে হবে, আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল, এই দলের অস্তিত্বকে সহজভাবে মানতে না পারার মতো মূর্খতা আর কিছু হতে পারে না। দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ যেমন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী, তেমনি বিএনপির রাজনৈতিক ধারায় বিশ্বাসী মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এক পক্ষ যদি ভাবে অন্য পক্ষের পায়ের নিচে মাটি নেই, হাওয়ায় ভেসে আছে, তাহলে ভুল করা হবে। বর্তমানে এই দুই দলের নেতা-কর্মীরা পরস্পর সম্পর্কে যে ধরনের ভাবনায় আচ্ছন্ন হয়ে আছেন, সেক্ষেত্রে পরিবর্তন না এলে আসলে রাজনীতিতে সুস্থতা ফিরে আসার সুযোগ নেই। দুই দলের মানসিকতায়, দৃষ্টিভঙ্গিতে বড় রকমের পরিবর্তন এলেই কেবল রাজনীতিতে যে প্রশ্নগুলো ঘুরেফিরে সামনে আসে, সেগুলো দূর হওয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক না হোক, শত্রুতার সম্পর্ক যেন দূর হয়, সে চেষ্টাই করা উচিত। 'যে আমার বন্ধু নয়, সে আমার শত্রু'- এই মনোভাব ক্ষতিকর। অথচ দেশের প্রধান দুটি দল এই ক্ষতিকর মনোভাব দ্বারা তাড়িত হয়েই চলছে। দুই দলের মধ্যকার এই শত্রুতার মনোভাব পরিহার করার কথা বললে কেউ কেউ অবশ্য মারমুখী হয়ে উঠবেন। তারা বলবেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে বিরোধ এবং দূরত্বটাই স্বাভাবিক। তেলে-জলে যেমন মিশ খায় না, তেমনি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যেও মিলমিশ হবে না। এই বক্তব্য যদি সবাই সত্য বলে মেনে নেন, তাহলে এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, আমাদের দেশের মানুষকে আরও দীর্ঘ সময় রাজনৈতিক দুর্গতির মধ্য দিয়েই যেতে হবে। ক্ষমতার পালাবদল হলেও অর্থাৎ সরকার পরিবর্তন হলেও অবস্থার কোনো পরিবর্তন হবে না।

দুই. কয়েক বছর আগের কথা। ভারতের কংগ্রেস দলের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় অল ইন্ডিয়া কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী দলের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, আমার প্রশংসা করে বক্তব্য রেখে সময় নষ্ট করা যাবে না। তিনি তার সমর্থকদের প্রশংসা করে বক্তৃতা না দেওয়ার নির্দেশ দেন। আমাদের দেশের কোনো কোনো দৈনিক পত্রিকায় খবরটি ছোট্ট করে ছাপা হয়েছে। সোনিয়া গান্ধীর এই বক্তব্য আমাদের দেশের প্রধান দুই নেত্রীর নজরে পড়েছে কিনা জানি না। নজরে পড়লেও এর থেকে কিছু শেখার আছে বলে হয়তো তারা মনে করেন না। আমাদের দেশে প্রধান দুই দলের নেতারা বক্তৃতায় বেশি সময় ব্যয় করেন নেত্রী-বন্দনায়। নেত্রীর নামের আগে কে কত বেশি বিশেষণ ব্যবহার করতে পারে, রীতিমতো তার প্রতিযোগিতা চলে। পাঁচ মিনিট বক্তৃতা করলেও দেখা যায় ৩ মিনিটই ব্যয় হয় নেত্রীর প্রশংসায়। প্রতিদিনই প্রায় এই ঘটনা এক বা একাধিকবার ঘটে। অথচ নেত্রীরা এতে অস্বস্তি বা বিরক্তি বোধ করেন না। বরং তারা বোধহয় বিষয়টি বেশ উপভোগ করেন। অন্যদিকে ভারতের মতো বিশাল দেশের সবচেয়ে পুরনো এবং বড় রাজনৈতিক দলের নেত্রী তার প্রশংসা করে বক্তৃতা দিতে বারণ করেছেন। বিষয়টি আসলে রুচি ও সংস্কৃতির। এক রুচিহীন রাজনৈতিক সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে যে আমরা সময় অতিক্রম করছি সেটা বোঝা যায়, আমাদের নেত্রীদের বিশেষণপ্রিয় মানসিকতা থেকেই। এমন কথাও শোনা যায় যে, কোনো নেতা যদি তার দলের প্রধান নেত্রীকে সম্বোধনের আগে একাধিক বিশেষণ প্রয়োগ না করেন তাহলে ওই নেতার নেতৃত্ব টিকিয়ে রাখাই দায় হয়ে পড়ে।

সোনিয়া গান্ধী এবং হাসিনা-খালেদার মানসিকতায় কত তফাৎ! সোনিয়া গান্ধী ক্ষমতার শীর্ষ পদে যাওয়ার সুযোগ পেয়েও তা গ্রহণ না করার ঔদার্য দেখাতে পারেন আর আমাদের দুই নেত্রী ক্ষমতার শীর্ষপদের জন্য দেশবাসীকে জিম্মি করতে দ্বিধা করেন না।

কংগ্রেসের ওই ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক সম্পর্কিত আরেকটি খবর উদ্ধৃত না করে পারছি না। 'রাতারাতি নেতা না হয়ে দরিদ্রদের জন্য কাজ করবেন রাহুল গান্ধী' শিরোনামের এই খবরটি এ রকম :

"পুরো সম্মেলন প্রাঙ্গণে গগনবিদারী স্লোগানে কেবল একটি দাবিই উঠছিল, 'কংগ্রেসের নেতৃত্বে রাহুলকে চাই। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে (সিডবি্লউসি) রাহুলকে দেখতে চাই। নেতৃত্বের বাইরে আমরা তাকে আর দেখতে চাই না।' সম্মেলন কেন্দ্রের ভেতর তখন তুমুল করতালি আর হর্ষধ্বনি। নেতা না হয়েও পরিণত নেতার মতোই ধীর লয়ে মঞ্চে এলেন তিনি। কাউকে নিরাশ না করেই বলতে শুরু করলেন, 'বাবা যেদিন নিহত হন, সেদিনই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, সমাজের জন্য, দেশের জন্য দৃষ্টান্ত রাখার মতো কিছু করব। আমি বিশ্বাস করি, নেতা না হয়েও অনেক কিছু করা যায়। এও বিশ্বাস করি, রাতারাতি নেতা হওয়া যায় না; একটু একটু করে তৈরি হতে হয়। ভারতের হায়দরাবাদে ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের বিরাশিতম সম্মেলনে দলীয় নেতা-কর্মী সবাই মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীবতনয় রাহুল গান্ধীর কথা।

মা সোনিয়া গান্ধীর মতো প্রথমে জনতার উদ্দেশে হাত নাড়লেন। তারপর লাল ফাইল খুলে হৃদয়স্পর্শী কথাগুলো পড়তে শুরু করলেন : 'এই মুহূর্তে জনগণের মধ্যেই হচ্ছে আমার উপযুক্ত জায়গা। আমাকে যদি কিছু শিখতে হয়, তাহলে এখন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে থাকতে হবে। আমার দলের কর্মী ও জনগণ কী চায়, কী তাদের প্রয়োজন, সেগুলো আগে আমাকে জানতে হবে। তারপর নেতৃত্ব। সে হিসেবে এই মুহূর্তে আমার শেখার সময়।' আবারও সম্মেলনস্থলে একছন্দে করতালি পড়ল। মন ছুঁয়ে যাওয়া কথাগুলো অনেকের চোখ ভিজিয়ে দিল। রাহুল বলতে লাগলেন, 'দলে তৃণমূল স্তরের কর্মী ও যুবসমাজের প্রতি আমার আবেদন, আসুন সুখের আবাস ছেড়ে লড়াইয়ের ময়দানে নামি। ক্ষমতার অলিন্দ ছেড়ে যাই হতদরিদ্র মানুষের পাশে- ভারতের হৃদয় যেখানে। প্রবীণদের উদ্দেশে নিবেদন, আমাদের কাজ দিন। হাজার নিষ্ঠাবান কংগ্রেস কর্মীর জন্য দলের দরজা খুলে দিন।'

যারা কিছুক্ষণ আগেও দলে ওয়ার্কিং কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে রাহুলকে বসানোর দাবিতে সোচ্চার ছিলেন, তারা প্রত্যেকে হতবাক হয়ে গেলেন নির্লোভ এক সত্যিকার নেতার বক্তব্য শুনে। প্রত্যেকেই নড়েচড়ে বসলেন। রাহুলের মধ্যে রাজীবের নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি দেখতে পেয়ে দলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কল্পনা করে সবাই আশ্বস্ত হলেন।" এর সঙ্গে আমাদের দেশে উত্তরাধিকার সূত্রে নেতা বানানোর প্রক্রিয়াটি পাঠক একবার মিলিয়ে দেখুন, পার্থক্যটা ধরতে একটুও বেগ পেতে হবে না। রাতারাতি যে নেতা হওয়া যায় না, নেতা হওয়ার জন্য যে একটু একটু করে তৈরি করতে হয় নিজেকে- এটাই তো উঠে গেছে আমাদের রাজনীতি থেকে। আমাদের রাজনীতিতে 'হঠাৎ' নেতার সংখ্যাই বাড়ছে। তাদের জনগণের কাছেও যেতে হয় না, জানতেও হয় না তাদের প্রয়োজনের কথা। প্রবীণদের কোণঠাসা করে, অপমান করে তরুণ নেতৃত্ব বিকাশের যে আয়োজন বিএনপি শুরু করেছে, আওয়ামী লীগও সম্ভবত এখন সে পথেই হাঁটার কথা ভাবছে। এতে আমাদের রাজনীতির দারিদ্র্যের চিত্রই ফুটে উঠছে না কি? রাজনীতির দারিদ্র্য দূর করা নিয়ে দেশে তর্ক-বিতর্ক কবে শুরু হবে সেটাই দেখার বিষয়।

লেখক : সাংবাদিক ও কলাম লেখক

ই-মেইল :[email protected]

 

 

সর্বশেষ খবর