মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

শিক্ষক নিয়োগে কমিশন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকমিশনের পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগে পৃথক কমিশন গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। বলেছেন এ কমিশন শিক্ষক নিয়োগে ভূমিকা রাখবে। বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নে শিক্ষার উন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষার উন্নয়নে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে যাতে সুযোগ্যরা সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করা দরকার। শিক্ষক নিয়োগে পৃথক কমিশন গঠন করা হলে এ বিষয়টি অনেকাংশে নিশ্চিত হবে। বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের যে পদ্ধতি রয়েছে তা অনেকাংশে ত্রুটিপূর্ণ। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে যোগ্যতার চেয়ে উৎকোচ সিদ্ধান্তসূচক ভূমিকা রাখে এমন অভিযোগও প্রবল। শিক্ষক নিয়োগে আলাদা কমিশন গঠিত হলে এবং সত্যিকারের যোগ্য ও মেধাবীদের শিক্ষকতার পেশায় সম্পৃক্ত করা সম্ভব হলে শিক্ষার গুণগতমান বাড়বে। শিক্ষার্থীরাও লাভবান হবে। আমাদের মতে, শুধু সরকারি শিক্ষক নয়, বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগেও সত্যিকারের যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতনের বড় অংশ যেহেতু সরকারি তহবিল থেকে আসে, সেহেতু এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগে সরকারের ভূমিকা থাকা উচিত। বেশির ভাগ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওপেন সিক্রেট। ফলে প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষকতা করার বাস্তব যোগ্যতা নেই এমন লোকজনও কলেজ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার কৃতিত্ব দেখায়। দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদ্যমান মানগত বৈষম্যের জন্য অযোগ্যদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি যে অনেকাংশে দায়ী তা সহজে অনুমেয়। বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক নিয়োগে প্রচলিত পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ এবং তা যোগ্যদের পাশ কাটিয়ে অনেক ক্ষেত্রে অযোগ্যদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাকে দারিদ্র্যমুক্ত হওয়ার চাবিকাঠি বলে অভিহিত করেছেন। সহজেই অনুমেয় যে শিক্ষা তখনই দারিদ্র্যমোচনের চাবিকাঠি হয়ে দাঁড়ায়, যখন অর্জিত শিক্ষাজীবন সংগ্রামের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করে। এ জন্য যোগ্য ও মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

সর্বশেষ খবর