বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

ইতিবাচক পূর্বাভাস

বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পর্কে ইতিবাচক পূর্বাভাস দিয়ে বলেছে চলতি অর্থবছর শেষে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ২ শতাংশ। বাম্পার কৃষিজ উৎপাদনের কারণে মূল্যস্ফীতির গড় ৭ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে এমন ধারণাই পোষণ করছে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনৈতিক সংস্থাটি। বিশ্বব্যাংকের মতে, বাংলাদেশের অর্থনীতির বেশির ভাগ সূচক ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। তবে একইসঙ্গে কয়েকটি ঝুঁকির কথাও উল্লেখ করেছে তারা। এর মধ্যে অন্যতম হলো বিনিয়োগ বৃদ্ধি না হওয়া। বর্তমানে জিডিপির ২৮ শতাংশ বিনিয়োগ হচ্ছে। জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশে উন্নীত করতে হলে বিনিয়োগ এক বছরের মধ্যে ৩৪ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। রাজনৈতিক ঝুঁকির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরলেও আস্থার সংকট রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ২ শতাংশ হওয়ার যে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে তা অবশ্যই একটি ইতিবাচক ঘটনা। সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য আশা করা হয়েছে চলতি বছর প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব হবে। গত কয়েক বছর ৬ শতাংশের ওপর প্রবৃদ্ধি অর্জিত হওয়ায় এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীল পরিবেশ থাকায় প্রবৃদ্ধির এই লক্ষ্যমাত্রাকে অতি উচ্চাভিলাষী বলার সুযোগ নেই। তবে এ জন্য অর্থনীতির সম্ভাবনাগুলোকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলে অর্থনীতির চাকাকে আরও সচল করতে হবে। বিশ্বব্যাংক তাদের প্রতিবেদনে উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদ্মা সেতু ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মতো বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ দ্রুততর করার পরামর্শ দিয়েছে। শেয়ারবাজার সম্পর্কেও সতর্ক করে দিয়েছে তারা। বলেছে সতর্কতার সঙ্গে বিনিয়োগ না করলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতির বেশির ভাগ সূচক সঠিক পথে চলছে এবং বাংলাদেশ আবারও ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে যাচ্ছে এটি সুসংবাদ হলেও দারিদ্র্যপীড়িত একটি দেশের জন্য আত্দপ্রসাদের কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে অর্থনীতির ইতিবাচক ধারাগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। নেতিবাচক ধারার ইতি টানতেও চালাতে হবে আন্তরিক প্রয়াস।

সর্বশেষ খবর