বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

নির্বাচন জটিলতা

স্থানীয় সরকার হলো জনগণের সরকার। এ সরকারের সঙ্গে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সরাসরি সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এলাকাবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্বও করেন তারা। গণতন্ত্রকে অর্থবহ করে তোলা এবং স্থানীয় পর্যায়ের উন্নয়ন কাজে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশাকে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রতিটি রাজনৈতিক দল স্থানীয় সরকারকে আরও শক্তিশালী এবং অর্থবহ করে তোলার প্রতিশ্রুতি দিলেও তার বাস্তবায়নে ব্যত্যয় ঘটছে। দেশের প্রধান দুটি স্থানীয় সরকার ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন কবে হবে সে বিষয়ে আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। সাত বছরের বেশি সময় ধরে চলছে এ অচলাবস্থা। এর সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে তৃতীয় বৃহত্তম সিটি করপোরেশন চট্টগ্রাম সিটির নির্বাচন। চট্টগ্রাম মহানগরীর বর্তমান আয়তন ৬০ বর্গমাইলকে দ্বিগুণ করে ১২০ বর্গমাইল করার একটি আবেদন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পেশ করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে সীমানা সংক্রান্ত জটিলতায় চট্টগ্রাম সিটির পরবর্তী নির্বাচন আটকে যেতে পারে। নির্বাচন স্থগিত করার পেছনে যাদের স্বার্থ আছে পর্দার আড়াল থেকে সেসব কুশীলব সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার বিভাগকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সীমানা জটিলতা নিরসনে বারবার তাগাদা দিলেও কোনো সমাধান আসছে না। বর্তমান সরকারের আগের মেয়াদে ডিসিসি নির্বাচন হয়নি নানা অজুহাতে। এবারও অজুহাতের কারণে একই বিড়ম্বনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্মর্তব্য, ২০০৭ সালের মে মাসে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হয়। এর পাঁচ বছর পর ২০১১ সালে ঢাকা সিটিকে দুটি সিটি করপোরেশনে ভাগ করা হয়। দুই সিটির নির্বাচন ঘোষণা করা হলেও তা স্থগিত করা হয় নানা জটিলতায়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সীমানা সংক্রান্ত অজুহাতে পিছিয়ে গেলে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মতো চট্টলাবাসীকেও নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে একই ভোগান্তির শিকার হতে হবে। আমরা আশা করব, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে অর্থবহ করার স্বার্থে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সিটি নির্বাচন নিয়ে যাতে জটিলতা সৃষ্টি না হয়, সে দিকে নজর দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর