শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

বিনিয়োগস্বর্গ বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ক্রমেই পরিণত হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের স্বর্গ হিসেবে। নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাণিজ্য উদারীকরণে বাংলাদেশের অবস্থান এখন সারা বিশ্বে দ্বিতীয়। ভিয়েতনামের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। বিশ্বের ৪৪টি দেশের ওপর ওয়াশিংটনভিত্তিক পিউরিসার্স সেন্টারের গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ফোর্বসে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ মুক্তবাজার ও বাণিজ্যের জন্য সহায়ক শক্তি হিসেবে এগিয়ে এসেছে। পিউরিসার্স সেন্টারের জরিপে অংশ নেওয়া ৮০ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, বাংলাদেশ বাণিজ্য উদারীকরণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের পর বাণিজ্য উদারীকরণে এগিয়ে আছে দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও আফ্রিকার দেশ ঘানা। ৪৪টি দেশের ওপর পরিচালিত জরিপে বলা হয়েছে, গত দুই দশকে রপ্তানি বাণিজ্য বিশেষত তৈরি পোশাক রপ্তানি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে দারুণভাবে এগিয়ে নিয়েছে। গার্মেন্ট এখন বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। পোশাক রপ্তানিতে চীনের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। পিউরিসার্স সেন্টারের জরিপ অনুযায়ী, বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধিকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে ইতিবাচক হিসেবে দেখে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৯১ শতাংশ বাংলাদেশি বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধিকে ভালো বলে মনে করছে। ভারত ও পাকিস্তানে এটি যথাক্রমে ৭৬ ও ৭০ শতাংশ। অন্যদিকে বাণিজ্য বাড়লে মজুরি বাড়বে বলে মনে করে ৭৮ শতাংশ বাংলাদেশি। এটি ভারতে ৪৯ ও পাকিস্তানে ৪৮ শতাংশ। বিদেশি বিনিয়োগকারীর স্থানীয় কোম্পানি কিনে নেওয়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখার ক্ষেত্রেও ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। এ ধরনের পদক্ষেপকে বাংলাদেশের ৬৯ শতাংশ মানুষ ভালো বলে মনে করে। অন্যদিকে ভারতে এই হার ৫৬ ও পাকিস্তানে ৪৩ শতাংশ। ফোর্বস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ওয়াশিংটনভিত্তিক পিউরিসার্স সেন্টারের গবেষণা প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের জন্য আশাজাগানিয়া খবর হিসেবে বিবেচিত হওয়ার দাবি রাখে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এটি অবদান রাখলে তা হবে ১৬ কোটি মানুষের জন্য এক বড় অর্জন। এ অর্জন যাতে হাতছাড়া না হয় তা নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকেও নজর দিতে হবে।

সর্বশেষ খবর